বাজেটে খেটে খাওয়া শ্রমিকের অভাব অনটন আরও বাড়বে: টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন

বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এতে দেশের ৬ কোটি শ্রমিকের জন্য কিছুই নেই। এতে শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রতিরক্ষা প্রভৃতি খাতে বরাদ্দ থাকলেও শ্রমিকদের জন্য আলাদাভাবে বরাদ্দ নেই। বাজেটে উন্নয়ন ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির কথা যতই বলা হোক না কেন, তাতে বৈষম্য ও অসমতা নিরসন হবে না। এই বাজেট ৬ কোটি খেটে খাওয়া শ্রমিকের অভাব-অনটন আরও বাড়াবে। বাস্তবে এই বাজেট ‘বানরের পিঠা বণ্টন’ গল্পের বিবরণ ছাড়া কিছুই না।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়েছে। বাজেটে শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু না করায় তাঁরা ক্ষোভ জানান। তাঁরা শ্রমিকদের জন্য স্বল্পমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়ে বলেন, শ্রমজীবী মানুষকে খাদ্যনিরাপত্তার সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাহবুবুর রহমান ইসমাইল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, গ্রীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা আক্তার, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক টিইউসির আইনবিষয়ক সম্পাদক কে এম মিন্টু, শ্রমিকনেতা এফ এম আবু সাঈদ ও আবু সুফিয়ান।  

টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ২৫ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের প্রতিটি শিল্পাঞ্চলে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।  

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে ১৪ কোটিরই মাথা গোঁজার নিজস্ব কোনো আবাসন নেই। বিগত ৫৩ বছরে দেশে আয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সম্পদ ও খাদ্যবৈষম্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। শ্রমিক পরিবারগুলো জেলখানার কয়েদিদের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছে। ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল মাত্র ৫, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯০০।

সংগঠনটি বলেছে, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বছরে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা শ্রমিকদের পকেট থেকে লুটে নিচ্ছে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই সরকার কালোটাকা (অপ্রদর্শিত আয়) ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ বা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। এ জন্যই পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীরের মতো আরও কয়েক হাজার দুর্নীতিবাজ দুর্নীতি করতে উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন।