বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমায় দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের দাম কমাতে শুরু করেছে। ভোজ্যতেল বিপণনকারী শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর একটি মেঘনা গ্রুপ প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৩ থেকে ১৭ টাকা কমাচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে এক লিটারের বোতলের দাম কমবে ১৪ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্য কোম্পানিগুলোও দাম কমাবে। আগামীকাল এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
এর আগে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এক প্রতিবেদনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ১০ শতাংশ হারে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর জন্য সুপারিশ করেছিল। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামের দাম কমার ফলে দেশে সেই হারে দাম সমন্বয়ের জন্য এই সুপারিশ করেছিল সংস্থাটি।
এ বিষয়ে ভোজ্যতেল বিপণনকারী কোম্পানি টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তাসলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবাই দাম কমাবে। সোমবার এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।’
মেঘনা গ্রুপের নতুন মূল্যতালিকা অনুযায়ী, সুপার ফ্রেশ, নম্বর ওয়ান ও অ্যাক্টিফিট সয়াবিন তেলে এক লিটারের বর্তমান বাজারমূল্য ১৯৯ টাকার পরিবর্তে দাম রাখা হবে ১৮৫ টাকা। ২ লিটারের বোতলের বর্তমান দাম ৩৯৮ টাকা থেকে কমে হবে ৩৭০ টাকা। আর পাঁচ লিটার সয়াবিনের যে বোতল ৯৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছিল, তা ৯১০ টাকায় পাওয়া যাবে।
দুই বছর ধরে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ছিল। ১০০ টাকা লিটারের সয়াবিন তেলের দাম ওঠে ২০৬ টাকা। বিশ্ববাজারে বাড়তি দামের কারণে এই দর বাড়ানো হয়েছিল। তবে গত দুই মাসে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম ৩২ শতাংশ এবং পাম তেলের দাম ৪৮ শতাংশ কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কমোডিটি এক্সচেঞ্জ শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিশোধিত সয়াবিন তেলের দর উঠেছিল টনপ্রতি ১ হাজার ৯৫০ ডলার। সে সময় প্রতি ডলার ৮৬ টাকা হিসাবে লিটারপ্রতি দর দাঁড়ায় ১৫৩ টাকা। গত বৃহস্পতিবার এই দর নেমে আসে টনপ্রতি ১ হাজার ৩১৮ ডলারে। তবে দেশে ডলারের দাম ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় তেলের দাম কমার পুরো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।