রাজধানীতে গাড়ির একটি বিক্রয়কেন্দ্র
রাজধানীতে গাড়ির একটি বিক্রয়কেন্দ্র

২৫ লাখ টাকার মধ্যে পাঁচ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি

নতুন বছরের শুরুতে অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করেন। সে ক্ষেত্রে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির প্রতি আগ্রহ থাকে সবচেয়ে বেশি। অল্প সময় ব্যবহার করা এসব গাড়ি অনেকটা নতুনের মতোই। বর্তমান বাজারদরে ২৫ লাখ টাকার মধ্যে কয়েকটি রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বিষয়ে জানা যাক।

১. টয়োটা অ্যাক্সিও

রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ক্ষেত্রে অন্য যেকোনো ব্র্যান্ডের মধ্যে টয়োটার কদর সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে টয়োটার ২০১৮ সালের অ্যাক্সিও মডেলের গাড়িটি আপনি পছন্দের শীর্ষে রাখতে পারেন। ১৫০০ সিসির রিকন্ডিশন্ড গাড়িটির বেসিক প্যাকেজের দাম ২৩ থেকে ২৫ লাখ টাকার মধ্যে। প্রায় কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যের আরেকটি গাড়ি হচ্ছে ২০১৮ মডেলের টয়োটা ফিল্ডার।

উভয় গাড়িই হাইব্রিড ও নন-হাইব্রিড—এ দুই ধরনের হতে পারে। তবে নন-হাইব্রিড গাড়ির দাম সাধারণত এক থেকে দেড় লাখ টাকা বেশি হয়। কারণ, দেশে নন-হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক বেশি। উভয় গাড়িতে রয়েছে প্রজেকশন হেডলাইট, এলয় রিমের চাকা, মাল্টিমিডিয়া স্ক্রিন, ফগলাইটসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য। গাড়ি হাইব্রিড হলে ঢাকার মধ্যে ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যায়। ঢাকার বাইরে মাইলেজ প্রায় ২০ কিলোমিটার। আর গাড়ি হাইব্রিড না হলে মাইলেজ প্রায় ৫ কিলোমিটার কম হয়।

দুটি গাড়ির মধ্যে টয়োটা অ্যাক্সিও গাড়িটির পেছনের অংশ সেডান ধরনের। অর্থাৎ এতে পণ্য রাখার জায়গা তুলনামূলক কম। তবে টয়োটা ফিল্ডারের পেছনের অংশ ওয়াগন ধরনের, যাতে বেশি জায়গা থাকে। উভয় গাড়িরই রিসেল ভ্যালু বেশ ভালো।

২. টয়োটা অ্যাকোয়া

কিছুটা কম দামের মধ্যে চাইলে একটি অপশন হতে পারে টয়োটার ২০১৮-১৯ মডেলের রিকন্ডিশন্ড অ্যাকোয়া গাড়িটি। এই মডেলের সব গাড়িই হাইব্রিড ধরনের হয়। রয়েছে প্রজেকশন হেডলাইট, ফগলাইট, ফ্যাব্রিক সিট ও মাল্টিমিডিয়া স্ক্রিনসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য।

গাড়িটির একটি বিষয় হচ্ছে, এটি আকারে কিছুটা ছোট। এ কারণে ভেতরে ও পেছনে মালপত্র নেওয়ার জায়গা কম পাওয়া যায়। তবে সুবিধা হলো, সরু ও অলিগলি রাস্তায় এটি সহজেই চালানো যায়। শুধু এ কারণে অনেকের কাছে গাড়িটির বেশ কদর রয়েছে। বর্তমানে গাড়িটি ১৮ থেকে ২৫ লাখ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

৩. হোন্ডা গ্রেস

দেশে টয়োটার পাশাপাশি রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বাজারে হোন্ডার জনপ্রিয়তাও রয়েছে। নন-হাইব্রিড হোন্ডা গ্রেস দামে টয়োটা অ্যাক্সিও গাড়ির চেয়ে একটু বেশি। তবে হাইব্রিডগুলো আবার টয়োটার অ্যাক্সিও বা ফিল্ডারের কাছাকাছি।

হোন্ডা গ্রেস গাড়ি ডিএক্স ও এলএক্স এই দুই মডেলের হয়। ২০১৮ মডেলের হোন্ডা গ্রেসে পুশ স্টার্ট, রেয়ার এসি ভেন্ট, প্রজেকশন হেডলাইটসহ বিভিন্ন প্রিমিয়াম মানের সুবিধা রয়েছে। গাড়িটিতে ঢাকা শহরে প্রতি লিটারে ১৪ থেকে ১৮ কিলোমিটার ও মহাসড়কে ২২ কিলোমিটারের বেশি মাইলেজ পাওয়া যায়। হাইব্রিড গাড়িগুলো ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে। তবে নন-হাইব্রিড হোন্ডা গ্রেসের দাম পড়ে ২৫ লাখ টাকার বেশি।

৪. টয়োটা প্রোবক্স

বরাবরের মতো বেশি মালামাল বহন ও সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য বাজারে ওয়াগন ধরনের টয়োটা প্রোবক্স গাড়িটির চাহিদা রয়েছে। ২০১৮-১৯ মডেলের গাড়িটি মূলত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বেশি ব্যবহার হয়। সেডান ধরনের গাড়িটি সিটি বা শহরে চালানোর জন্য বেশ উপযোগী।

টয়োটা সাকসিড গাড়িটিও প্রোবক্সের কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যের। এ কারণে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টয়োটার প্রোবক্স ও সাকসিড গাড়ি বেশি ব্যবহার করে। ঢাকা শহরের মধ্যে এ গাড়ির ৭ থেকে ১০ কিলোমিটার ও হাইওয়েতে এটির ১৩ থেকে ১৫ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যায়। নন-হাইব্রিড রিকন্ডিশন্ড প্রোবক্স গাড়ির দাম ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকার মধ্যে।

৫. হোন্ডা ফিট

রিকন্ডিশন্ড গাড়ির মধ্যে হোন্ডা ফিটের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ছোট ও সংকীর্ণ সড়কে এটি সহজে চালানো যায়। ২০১৮-১৯ মডেলের ফিট গাড়িগুলোয় মাল্টিমিডিয়া স্ক্রিন, পুশ স্টার্ট, ব্যাক ক্যামেরাসহ রয়েছে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য। কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যের আরেকটি গাড়ি টয়োটা ভিটজ।

হাইব্রিড ধরনের হোন্ডা ফিট ১৮ থেকে ২২ লাখ টাকার মধ্যে ও ভিটজ (হাইব্রিড ও নন–হাইব্রিড উভয়ই) গাড়িগুলো ১৮ থেকে ২২ লাখ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। গাড়িগুলোতে ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ পাওয়া যায়।