সর্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জমা দিলে প্রতি হাজারে অতিরিক্ত খরচ হবে সাত টাকা। পেনশন স্কিমভেদে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এই খরচ নির্ধারণ করে দিয়েছে, যা অনুসরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
দেশে এখন ১৩টি এমএফএস প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে গ্রাহক ও লেনদেন সবচেয়ে বেশি বিকাশ, নগদ ও রকেট—এই তিন এমএফএসে।
অর্থ বিভাগের পরিপত্রে বলা হয়েছে, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে টেকসই পেনশন–কাঠামোর আওতায় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনের অধীন চাঁদাদাতারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করে যেকোনো একটি পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন।
এতে বলা হয়, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সরকারের অন্যান্য কার্যক্রমের নগদ অর্থ এমএফএসের মাধ্যমে বিতরণের জন্য অভিন্ন ক্যাশআউট চার্জ দশমিক ৭০ শতাংশ নির্ধারণ করে ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর পরিপত্র জারি করা হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের একটি অংশ বিধায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ব্যক্তি থেকে সরকারের হিসাবে টাকা জমা পদ্ধতিতে চাঁদাদাতারা পেনশন কর্তৃপক্ষের হিসাবে এমএফএসের মাধ্যমে চাঁদা প্রদানের সেবা মাশুল একই রকম, অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ প্রযোজ্য হবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, চাঁদাদাতারা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশনের পর পেনশন কর্তৃপক্ষের হিসাবে অর্থ জমা করলে মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাঁদাদাতা বরাবর নিশ্চিতকরণ বার্তা প্রেরণ করবে।
১৭ আগস্ট সেবাটি চালুর পর থেকে গত বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিম বা কর্মসূচিতে চাঁদা দিয়েছেন মোট ৮ হাজার ২৩১ জন। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামের চারটি আলাদা পেনশন কর্মসূচি চালু হয়েছে। আরও দুটি কর্মসূচি চালুর চিন্তা করছে সরকার।
সূত্রগুলো জানায়, সেদিন সকাল পর্যন্ত যত ব্যক্তি চাঁদা দিয়েছেন, তার মধ্যে প্রগতি কর্মসূচির আওতায় ৪ হাজার ৩৭১ জন, সুরক্ষায় ২ হাজার ৭৪১, সমতায় ৯১০ ও প্রবাস কর্মসূচিতে চাঁদা দিয়েছেন ২০৯ জন।