রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের তালিকা করতে বুথ খুলেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বিশেষ দল। পরে আজ সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মোহাম্মদপুর সরকারি কৃষিপণ্যের পাইকারি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুল হক জানান, তাঁদের এই মার্কেটে সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত ৩১৭টি দোকান রয়েছে। এ ছাড়া ১২৯টি সাবকন্ট্রাক্ট–ভিত্তিক দোকান রয়েছে। এর বাইরে সেখানে আরও কিছু খুচরা ব্যবসায়ীর দোকান রয়েছে। বেশির ভাগই এখন আগুনে পুড়ে ছাই।
কাঁচাবাজার ছাড়াও মার্কেটটিতে রয়েছে জুয়েলারি, মুদি, চাল, তৈজসপত্র, হার্ডওয়্যার, প্লাস্টিক, রূপসজ্জার পণ্য ও জুতার দোকান। শুধু মার্কেটের এক পাশে থাকা মাছ-মাংসের দোকানগুলোয় আগুন পৌঁছাতে পারেনি।
সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে তৎপর ছিলেন। আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে তাঁরা দোকানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বেশির ভাগ দোকানে ছাইভস্ম ছাড়া উদ্ধার করার মতো কিছুই তাঁরা পাননি।
ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান দুপুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর তাঁর নির্দেশে সেখানে অস্থায়ীভাবে একটি বুথ বসানো হয় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করার জন্য।
দোকানের তালিকা করার ক্ষেত্রে মূল মালিকের নামে সিটি করপোরেশনের বরাদ্দপত্র, দোকান ভাড়া দেওয়া থাকলে তার প্রমাণপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও ট্রেড লাইসেন্স দেখে নিচ্ছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া দোকান কর্মচারীদেরও তালিকা করছে জেলা প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে কর্মচারীদের পরিচয়পত্র ও বেতনের প্রমাণপত্র দেখা হচ্ছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তালিকা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাব। সেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ কিংবা অন্য সহায়তা দেওয়া হবে।’
ঢাকা জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করছে।