নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড চেম্বার এক্সপো ২০২৪ গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিউইয়র্কের প্রাণকেন্দ্র টাইমস স্কয়ারের ম্যারিয়ট মারকিউজ হোটেলের হলরুমে দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রদর্শনীতে নিউইয়র্কের ৮৩ ও বাংলাদেশের ৩১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রাতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণের বিবেচনায় এবারের আয়োজন ছিল সবচেয়ে বড়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। খবর বিজ্ঞপ্তি
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আজ নিউইয়র্কে এই মেলার উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসায়িক নবদিগন্তের সূচনা হলো। আশা করছি, ভবিষ্যতে এটি আরও বিস্তৃত হবে।’
স্বাগত বক্তব্যে গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও সিইও মার্ক জেফি বলে, তিন বছর ধরে হওয়া এই আয়োজন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এ মুহূর্তে ড. ইউনূসের মতো মানুষ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর বৈশ্বিক ভাবমূর্তি কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই ব্যবসায়িক অংশীদারি আরও বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এ নিয়ে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।’
বাংলাদেশ-ইউএস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স, ইউএসএ-বাংলা বিজনেস লিংকের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে হ্যান্ডিলুম, হ্যান্ডিক্রাফট, আইটি ও সফটওয়্যার, মেডিকেল ও ফার্মাসিউটিক্যাল, মোবাইল ও টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংকিং ও ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান, নিউট্রিশন ও বেভারেজ, চামড়া ও চামড়াজাত, অ্যাগ্রো ও অ্যাগ্রো প্রসেসিং, ফুড ও বেভারেজ, ক্যাপিটাল মার্কেট, আবাসন, প্রবাসী আয়, ট্যুরিজম ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলো। এ আয়োজন বাংলাদেশি পণ্য ও সেবা বিদেশে উপস্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রাখবে।
আয়োজনে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রদর্শনী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেমিনার, প্রবন্ধ উপস্থাপনসহ নানা আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত ও মার্কিন ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্টলে পণ্য প্রদর্শন করেন।