সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১ কোটি ৬৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। এ জন্য খরচ হবে ৩৪৮ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ বিষয়ে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রাহাত আনোয়ার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাহাত আনোয়ার জানান, সয়াবিন তেলের মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা হবে। এ জন্য খরচ হবে ১৮৯ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাতে প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৭১ দশমিক ৮৫ টাকা। আর সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা হবে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন। এতে মোট খরচ ৮৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫৯ দশমিক ৯৫ টাকা।
উন্মুক্ত দর পদ্ধতিতে আট হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয় বৈঠকে। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ৮৮ দশমিক ৭৩ টাকা। গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকেও টিসিবির মাধ্যমে দেশীয় তিন কোম্পানি থেকে ১ কোটি ৬৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
ক্রয় কমিটির বৈঠকে কানাডা থেকে ৫০ হাজার টন এমওপি ও মরক্কো থেকে ৯০ হাজার টন ডিএপি সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়। এতে ব্যয় হবে ৭৩৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রাথমিকের জন্য ২ কোটি ৪৮ লাখ ৩৫ হাজার ৯৯০ কপি পাঠ্যপুস্তক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ পাঠ্যপুস্তক কেনা হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৭৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব রাহাত আনোয়ার জানান, ২০২৩ সালের জন্য অপরিশোধিত ও পরিশোধিত মিলিয়ে সাড়ে ৫৪ লাখ টন জ্বালানি তেল কেনার নীতিগত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে সৌদি আরব ও আবুধাবি থেকে এ তেল কেনা হবে।