অর্থনৈতিক অগ্রগতির পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হলো। গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্সে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের পাঁচটি সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল জাতিগত ব্র্যান্ডের একটি।
২০২৩ সালে জাতি হিসেবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫০৮ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। জাতিগত ব্র্যান্ডিংয়ে শীর্ষ পাঁচটি সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা দেশের মধ্যে বাকি চারটি দেশ হচ্ছে উজবেকিস্তান, আজারবাইজান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্জিয়া।
গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্স প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের প্রশংসা পেয়েছে। দেশের দারিদ্র্য বিমোচন মডেল বিশ্বব্যাংকের ‘দারিদ্র্য বিমোচন’ মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
মূলত ১২টি বিষয়ের ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। সেগুলো হলো সে দেশের পরিচিতি, সুনাম, প্রভাব, ব্যবসা-বাণিজ্য, শাসনব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ, শিক্ষা ও বিজ্ঞান, মানুষ ও মূল্যবোধ, স্থায়িত্ব এবং স্বীকৃতি।
এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে পরিচিতি ও সুনাম সূচকে, ৪ দশমিক ৫ এবং ৫ দশমিক ২। আর সবচেয়ে কম নম্বর ২ দশমিক ৩ পেয়েছে শিক্ষা ও বিজ্ঞান সূচকে।
গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্সে দেখা যায়, ২০২৩ সালের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭তম, এক বছর আগে যা ছিল ১০৫তম। ২০২২ সালে ১০০-এর মধ্যে বাংলাদেশের অর্জিত মান ছিল ২৯। পরের বছরে যা ৩৫ দশমিক ১-এ উঠেছে। অর্থাৎ, এক বছরে বাংলাদেশের অর্জিত মান বেড়েছে ৬ দশমিক ১।
২০২৩ সালের সূচকে দেশ হিসেবে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫০৮ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে যা ছিল ৩৭১ বিলিয়ন বা ৩৭ হাজার ১০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ, এক বছরে দেশের ব্র্যান্ড মূল্য বেড়েছে ৩৭ শতাংশ।
জাতিগত ব্র্যান্ড মূল্যের দিক থেকে সবার ওপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ব্র্যান্ড মূল্য ৩০ হাজার ৩০৯ বিলিয়ন বা ৩০ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। সংখ্যাটা দেখলে স্বাভাবিকভাবেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়। ১০০-এর মধ্যে তাদের অর্জিত মান ৭৪ দশমিক ৮।
এরপর আছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান ও চীন। সূচকে ১০০-এর মধ্যে তাদের অর্জিত মান হচ্ছে ৬৭ দশমিক ৩, ৬৫ দশমিক ৮, ৬৫ দশমিক ২ ও ৬৫।
এদিকে সূচকে এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে ভারতের। ৪৭ নম্বর পেয়ে ২০২৩ সালে তাদের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ২৮তম। তারা সবচেয়ে ভালো করেছে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সূচকে। তারা বিশ্বে ১৯তম। এ ছাড়া অন্যান্য উপসূচকেও তারা ১০-এর মধ্যে আছে।