নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের গৃহঋণ নেওয়ার সুযোগ আরও বাড়ল। বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক প্রকল্পে ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাবেন তাঁরা। তবে এ জন্য ওই আবাসিক প্রকল্পের ফ্ল্যাটের আয়তন হতে হবে সর্বোচ্চ ৭৫০ বর্গফুট। একই সঙ্গে প্রকল্পটি হতে হবে পরিবেশবান্ধব। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিবেশবান্ধব পুনঃ অর্থায়ন তহবিলের আওতায় এই ঋণ বিতরণ করবে শরিয়াভিত্তিক সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাদে দেশের কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে পরিবেশবান্ধব পুনঃ অর্থায়ন কর্মসূচিতে নতুন করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ফ্ল্যাট কেনার জন্য এই ঋণসুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় আরও ১৩টি পণ্য, প্রকল্প কিংবা উদ্যোগ এই তহবিলের অধীনে এসেছে। এখন থেকে মোট ৬৮ পণ্যে এই ঋণ দেওয়া হবে। আগের পুনঃ অর্থায়ন স্কিমে পরিবেশবান্ধব ৫৫ পণ্য বা প্রকল্প অথবা উদ্যোগে ঋণ দেওয়া হতো।
নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ দিতে ব্যাংকগুলো গ্রাহক পর্যায়ে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ হারে সুদ নেবে। এ ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কম মেয়াদি ঋণে সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৫ শতাংশ ও পাঁচ থেকে আট বছরের কম মেয়াদে সুদ হার বেড়ে দাঁড়াবে সাড়ে ৫ শতাংশ। আর গ্রাহকেরা আট বছরের বেশি মেয়াদের জন্য এই গৃহঋণ নিলে সুদ দেবেন ৬ শতাংশ হারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যক্তিপর্যায় ছাড়াও বহুতলবিশিষ্ট পরিবেশবান্ধব আবাসন নির্মাণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো। এ ক্ষেত্রে আবাসন কোম্পানিগুলোকে অনধিক ৭৫০ বর্গফুট পরিসরের ফ্ল্যাট–সংবলিত পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ করতে হবে। তবে ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এই ঋণ পেতে চাইলে পরিবেশবান্ধব সনদের বাধ্যবাধকতা আছে। সনদ প্রাপ্তির ৯০ দিনের মধ্যে আবেদন করলে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।