আয়কর

টিআইএন থাকলেই আয়কর রিটার্ন দিতে হবে

আয়কর রিটার্ন দাখিল
ফাইল ছবি

আয়করের ব্যাপ্তি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। মাকড়সার জালের মতো করজালও বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দেশে ৭০ লাখের ওপরে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএনধারী রয়েছেন। আর ৩৮টি‌ ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র লাগে। আগে টিআইএন থাকলেই হতো। এখন টিআইএন থাকলেই করযোগ্য আয় থাকুক বা না থাকুক আয়কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক। ২-৩টি ব্যতিক্রম ছাড়া জেনে নিন কাদের আয়কর রিটার্ন দিতে হবে এবং দিতে হবে না।

যাঁদের করযোগ্য আয় রয়েছে

● কোনো ব্যক্তি করদাতার আয় যদি বছরে তিন লাখ টাকার বেশি হয়।

● তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা, মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের পুরুষ করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি হয়।

● গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে পৌনে ৫ লাখ টাকার বেশি হয়।

● প্রতিবন্ধী করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে চার লাখ টাকার বেশি হয়।

যাঁদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক

● যদি নির্দিষ্ট আয় বছরে কোনো করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করে।

● যদি নির্ধারিত আয় বছরের পূর্ববর্তী তিন বছরের যেকোনো বছর করদাতার কর নির্ধারণ হয়ে থাকে বা তাঁর আয় করযোগ্য হয়ে থাকে।

● কোনো কোম্পানির শেয়ারধারী পরিচালক হলে।

● কোনো প্রতিষ্ঠান বা ফার্মের অংশীদার হলে।

● সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ, করপোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের বা প্রচলিত কোনো আইন, আদেশ বা দলিলের মাধ্যমে গঠিত কোনো কর্তৃপক্ষ, করপোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের কর্মচারী হয়ে আয় বছরের যেকোনো সময় ১৬ হাজার টাকার বেশি মূল বেতন পেয়ে থাকলে।

● কোনো ব্যবসায় বা পেশায় নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে (যে নামেই অভিহিত হোক না কেন) বেতনভোগী কর্মী হলে।

● আয় বছরে যদি কোনো করদাতা আয়কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য হয়ে থাকেন।

● মোটর গাড়ির মালিকানা থাকলে (মোটর গাড়ি বলতে জিপ বা মাইক্রোবাসকেও বোঝাবে)।

● মূল্য সংযোজন কর আইনের অধীন নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্যপদ থাকলে।

● কোনো সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা বা পেশা পরিচালনা করলে।

● চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, সনদধারী হিসাববিদ, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার অথবা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার নিবন্ধন থাকলে।

● আয়কর পেশাজীবী হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিবন্ধন থাকলে।

● কোনো বণিক বা শিল্পবিষয়ক চেম্বার বা ব্যবসায়িক সংঘ বা সংস্থার সদস্যপদ থাকলে।

● কোনো পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের কোনো পদে বা সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হলে।

● কোনো সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কোনো স্থানীয় সরকারের দরপত্রে অংশগ্রহণ করলে।

● কোনো কোম্পানির বা কোনো গ্রুপ অব কোম্পানিজের পরিচালনা পর্ষদে থাকলে।

● মোটরযান, স্থান, আবাসন বা অন্য কোনো সম্পদের মাধ্যমে কোনো অংশভাগী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করলে।

● লাইসেন্সধারী অস্ত্রের মালিক হলে।

● যেসব ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।