সঞ্চয়পত্র

প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিনিয়োগে লাগাম

সঞ্চয়পত্র
প্রতীকী ছবি

সঞ্চয়পত্রে ভবিষ্য তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিনিয়োগের লাগাম টানল সরকার। এখন থেকে এ ধরনের তহবিলের মোট স্থিতির ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যাবে। তবে সেই বিনিয়োগ কোনোভাবেই ৫০ কোটি টাকার বেশি হবে না। এর আগে সঞ্চয়পত্রে এ ধরনের তহবিলের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো সীমা নির্ধারিত ছিল না। প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেকোনো অঙ্কের অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারত।

গত সোমবার সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে যেসব ভবিষ্য তহবিলের অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা হবে, সেগুলো আয়কর কমিশনারের পক্ষ থেকে স্বীকৃত তহবিল হতে হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আর্থিক বিবরণী ও ভবিষ্য তহবিল দুটিই নিরীক্ষিত হতে হবে। এ ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্য তহবিল সংরক্ষণের বিষয়ে সরকারি গেজেট থাকতে হবে।

এ ছাড়া ফার্মের আয় থেকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এখন থেকে উপ–কর কমিশনারের পক্ষ থেকে প্রত্যয়নকৃত ফার্মের আয়ের সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যাবে।

আর অটিস্টিক সহায়ক প্রতিষ্ঠান, দুস্থ ও অনাথ শিশুদের নিবন্ধিত আশ্রয় প্রতিষ্ঠান (অনাথ আশ্রম, শিশু পরিবার ও এতিমখানা ইত্যাদি), প্রবীণদের জন্য নিবন্ধিত আশ্রয়কেন্দ্রের অর্থ থেকে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগ করতে গেলে এসব প্রতিষ্ঠানকে জেলা সমাজসেবা অফিস থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে থাকতে হবে টিআইএন বা কর শনাক্তকরণ নম্বর। এসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ থেকে আসা মুনাফা অবশ্যই অটিস্টিক, দুস্থ, অনাথ শিশু ও প্রবীণদের সহায়তার কাজে লাগাতে হবে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভবিষ্য তহবিলসহ উল্লিখিত সব তহবিলের টাকা তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক ও পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বা দুটিতেই বিনিয়োগ করা যাবে।

একই দিন বাংলাদেশ ব্যাংক অপর এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, সঞ্চয়পত্রে পাঁচ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে গেলে সর্বশেষ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। একই সঙ্গে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে হিসাব খুলতেও রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।