ব্যাংকে টাকা রাখলে একসময় ৫ থেকে ৬ বছরেই তা দ্বিগুণ হতো। এখন অবশ্য সে দিন নেই।
ঋণের সুদ ৯ শতাংশ ও আমানতের সুদ ৬ শতাংশ বেঁধে দেওয়ার পর টাকা দ্বিগুণ হওয়ার সময়ও বেড়েছে। ব্যাংক ভেদে এখন সময় লাগে ৭ থেকে ১২ বছর।
প্রতি মাসে টাকা রাখার ক্ষেত্রে দুটি বিকল্প থাকে। একটিতে সুদের হার পুরোপুরি নির্ধারিত। অন্যটিতে পরিবর্তনের এখতিয়ার রাখে ব্যাংক।
ব্যাংকে টাকা রাখলে একসময় ৫ থেকে ৬ বছরেই তা দ্বিগুণ হতো। এখন অবশ্য সে দিন নেই। ঋণের সুদ ৯ শতাংশ ও আমানতের সুদ ৬ শতাংশ বেঁধে দেওয়ার পর টাকা দ্বিগুণ হওয়ার সময়ও বেড়েছে। ব্যাংক ভেদে এখন সময় লাগে ৭ থেকে ১২ বছর। এ অবশ্য এককালীন টাকা রাখার বিষয়। মাসে মাসে জমা রেখে টাকা দ্বিগুণ করার সুযোগও অবশ্য আছে। সে ক্ষেত্রে সময় আরও বেশি লাগতে পারে।
বাকিটা এখন গ্রাহকের বিষয়। এককালীন টাকা জমা রাখবেন না মাসে মাসে জমা রাখবেন। ব্যাংকও বেছে নিতে হবে গ্রাহককেই। তবে ব্যাংক পছন্দ করার আগে কয়েকটি দিক বিবেচনা করতে পারেন গ্রাহক। যেমন প্রথমেই দেখতে হবে ব্যাংকটির মান কেমন বা খেলাপি ঋণের হার কত। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে কারা আছেন, এমনকি ব্যবস্থাপনায় কারা আছেন, তা-ও বিবেচনায় রাখতে পারেন গ্রাহক।
ব্যাংকে এককালীন স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রাখলে প্রথম দিন চুক্তির সময় যে সুদের হারের কথা ব্যাংক বলবে বা যে সময়ে টাকা দ্বিগুণ হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেবে, তার হেরফের হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের সুযোগ নেই এমনকি প্রতি মাসে টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রেও।
প্রতিটি ব্যাংক তাদের ওয়েবসাইটে টাকা জমা রাখতে এফডিআরসহ বিভিন্ন বিকল্পের কথা তুলে ধরেছে। প্রায় সব ব্যাংকেরই টাকা দ্বিগুণ করার কর্মসূচিটি রয়েছে। দেখা যায়, সরকারি ব্যাংকগুলো এখন আর দীর্ঘ মেয়াদে এফডিআর নিচ্ছে না। ফলে সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখলে দ্বিগুণ হতে কত সময় লাগে, তা এখন অপ্রাসঙ্গিক।
প্রতি মাসে টাকা রাখার ক্ষেত্রে দুটি বিকল্প থাকে। একটিতে সুদের হার পুরোপুরি নির্ধারিত। অন্যটিতে পরিবর্তনের এখতিয়ার রাখে ব্যাংক। গ্রাহক অনেক সময় ঠকেন না বুঝে বা না পড়ে চুক্তি করার কারণে, পরে যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
প্রতিটি ব্যাংক তাদের ওয়েবসাইটে টাকা জমা রাখতে এফডিআরসহ বিভিন্ন বিকল্পের কথা তুলে ধরেছে। প্রায় সব ব্যাংকেরই টাকা দ্বিগুণ করার কর্মসূচিটি রয়েছে। দেখা যায়, সরকারি ব্যাংকগুলো এখন আর দীর্ঘ মেয়াদে এফডিআর নিচ্ছে না। ফলে সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখলে দ্বিগুণ হতে কত সময় লাগে, তা এখন অপ্রাসঙ্গিক। বেসরকারি ব্যাংকের কয়েকটিতে টাকা দ্বিগুণ হতে সময় লাগে তুলনামূলক কম।
জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, কমপক্ষে ৩ মাস সময়ের জন্য তারা এফডিআর জমা নেয়, তবে ২ বছরের বেশি সময়ের জন্য নয়। সুদের হার ৫ থেকে ৬ শতাংশ। রূপালী ব্যাংক অবশ্য ৩ বছরের জন্যও টাকা নেয় ৫ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ সুদে।
এদিকে এফডিআর রাখলে পূবালী ব্যাংকে টাকা দ্বিগুণ হয় ৯ বছরে। সুদের হার ৮ শতাংশ। উত্তরা ব্যাংকে দ্বিগুণ হয় ১২ বছরে, সুদের হার ৬ শতাংশ। প্রিমিয়ার ব্যাংকে টাকা দ্বিগুণ হয় সাড়ে ৭ থেকে ৮ বছরে। আর প্রাইম ব্যাংকে সাড়ে ৮ বছরে।
নতুন প্রজন্মের ব্যাংক সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ১০ শতাংশের বেশি সুদ দিয়ে ৭ বছরে টাকা দ্বিগুণ করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে। ১১ বছর ৫ মাসে এ ব্যাংক টাকা দেবে তিন গুণ। পদ্মা ব্যাংক ১০ বছরে দ্বিগুণ টাকা দিলেও তিন গুণ দেবে ১৫ বছরে।
টাকা রাখতে গেলে বেশি কিছু কাগজপত্রের দরকার হয় না। আবেদনপত্র পূরণ করে দুই কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি যুক্ত করে দিলে ১ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে ব্যাংক কাজটি করে দেয়।
এখন যেহেতু সুদের হার কম, ফলে অনেকেই দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাংকে টাকা রাখতে চান না। আবার ব্যাংকের দিক থেকেও বেশি সময়ের জন্য টাকা জমা রেখে ভালো ফল পাওয়া যায় না।রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ
এফডিআরে টাকা রাখার বড় সুবিধা হচ্ছে, যেকোনো সময় এর বিপরীতে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের চেয়ে এটি একটি বাড়তি সুবিধা।
রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ গতকাল বলেন, ‘এখন যেহেতু সুদের হার কম, ফলে অনেকেই দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাংকে টাকা রাখতে চান না। আবার ব্যাংকের দিক থেকেও বেশি সময়ের জন্য টাকা জমা রেখে ভালো ফল পাওয়া যায় না। তাই ৭ থেকে ১০ বছরে টাকা দ্বিগুণ হবে, এ ধরনের কর্মসূচি থেকে আমরা দূরে সরে এসেছি।’