যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরই কর হ্রাসসহ সংক্ষিপ্ত বাজেট দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সে দেশের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারতেং। তখনই অভিযোগ উঠেছিল, এই কর হ্রাস করা হয়েছে মূলত ধনীদের জন্য। আবার সেই ছাড়ের অর্থ কীভাবে পূরণ হবে, তার রূপরেখা তিনি দেননি। সেই অভিযোগেই অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
যদিও তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে, নাকি তিনি পদত্যাগ করেছেন, এ নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি আছে।
গতকাল শুক্রবার কোয়ারতেং প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের যৌথ বৈঠকে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন। কিন্তু বৈঠকের মাঝপথে সফর সংক্ষিপ্ত করে তিনি লন্ডনে ফিরে আসেন। এরপরই গতকাল তাঁর বরখাস্তের কথা ঘোষণা করা হয়।
তবে অর্থমন্ত্রীর পদে না থাকলেও কোয়ারতেং প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের অর্থনৈতিক লক্ষ্যের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। বলেছেন, তিন এখন সামনে না থাকলেও পেছন থেকে লিজ ট্রাসকে সমর্থন করে যাবেন।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, ‘আপনি অনেক চ্যালেঞ্জিং সময়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।...জ্বালানির অতিরিক্ত মূল্যের ভার থেকে জনগণকে রেহাই দিতে আপনি যে পরিকল্পনা দিয়েছিলেন, তা আধুনিক কালে সরকারের তরফ থেকে রাজস্ব খাতে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে নজির হয়ে থাকবে।’
কিন্তু ইতিমধ্যে যে ক্ষতি হয়ে গেছে, অর্থমন্ত্রী পরিবর্তন করলেই তা পূরণ হবে না বলে মনে করেন দেশটির ছায়া অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস। তিনি টুইটে বলেছেন, অর্থমন্ত্রী নয়, সরকারের পরিবর্তন দরকার। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার মতো নেতৃত্ব দিতে পারে কেবল লেবার পার্টি। সেই দূরদৃষ্টি লেবার পার্টির আছে।