ঢাকায় তিন দিনব্যাপী পর্যটন মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় বিমান পরিবহন, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, হাসপাতাল, রিসোর্ট, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিসহ পর্যটন খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা নিজেদের সেবার ওপর বিশেষ মূল্যছাড়সহ নানা সুবিধা দিচ্ছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম এক্সপো’ নামের এই মেলা শুরু হয়। মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) এ মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে দেশের নতুন বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার অ্যাস্ট্রা। আগামী শনিবার পর্যন্ত এ মেলা চলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, দেশের পর্যটন খাতের সম্ভাবনা অসীম। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অন্যান্য দেশের মানুষের সামনে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে তুলে ধরতে হবে। এই মেলার মাধ্যমে সেই সুযোগ পাবেন দেশের পর্যটন খাত–সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিস্কো ডি আসিস বেনিটেজ সালাস, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলী কদর, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহির মো. জাবের প্রমুখ।
এ ছাড়া আটাবের সভাপতি এস এন মঞ্জুর মোর্শেদ ও মহাসচিব আবদুস সালাম আরেফ, এয়ার অ্যাস্ট্রার মহাব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, করোনার কারণে আমরা ভর্চ্যুয়ালি যোগাযোগ করতে অভ্যস্ত হয়েছি। তবে এর মাধ্যমে ভ্রমণ ও মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের চাহিদা পূরণ হয় না। এ জন্য পর্যটন খাতকে সব সময়েই গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে। নেপালের পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশ অন্যতম পর্যটন গন্তব্য। অন্যদিকে, নেপালেও হিমালয়সহ আছে বহু আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। তাই উভয় দেশের মধ্যে পর্যটন সম্পর্ক আরও বাড়ানোর সুযোগ আছে।
আটাব জানিয়েছে, এবারের মেলায় ভারত, মালয়শিয়া, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, আজারবাইজান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১৫টি দেশ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
আয়োজকেরা বলছেন, পর্যটন মেলার মাধ্যমে ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটরদের মধ্যে ব্যবসায়িক সংযোগ ও সম্পর্ক তৈরি হবে। পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহকেরা বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের তথ্য, প্যাকেজ ও এয়ার টিকিট সম্পর্কে জানতে পারবেন।