আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথম দুই ঘণ্টায় ১৯২টি ভোট পড়েছে। ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য এই ভোট হচ্ছে।
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আজ সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলে রিহ্যাবের ২৯টি পরিচালক পদে চার প্যানেলের ৯৩ জন ব্যবসায়ী প্রার্থী হয়েছেন, মোট ভোটার ৪৭৬ জন।
সকাল সাড়ে দশটায় ভোট কেন্দ্রে দেখা যায়, মূল ফটকের বাইরে বিভিন্ন প্যানেলের পক্ষে কয়েক শ কর্মী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভেতরে শুধু প্রার্থী ও ভোটারদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে-নিচতলা থেকে পরিচয়পত্র নিয়ে সাত তলায় গিয়ে ভোট দিতে হচ্ছে।
কয়েকজন প্রার্থী জানান, সকাল ১০টায় ভোটকক্ষে প্রতিনিধি বা এজেন্ট রাখা নিয়ে বচসা হয়। একটি প্যানেলের নেতারা এজেন্ট রাখার বিষয়ে বিরোধিতা করেন; অন্য তিন প্যানেলের প্রার্থীরা এজেন্ট দেওয়ার দাবি জানান। একপর্যায়ে নির্বাচন কমিশন এজেন্ট রাখার অনুমতি দিলে জটিলতার অবসান হয়।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্যানেলগুলো হচ্ছে-রিহ্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাপান গার্ডেন সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আবাসন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ, সেঞ্চুরি রিয়েলিটির চেয়ারম্যান এম জি আর নাসির মজুমদারের নেতৃত্বে ডেভেলপার্স ফোরাম, রিহ্যাবের সাবেক সহসভাপতি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে নবজাগরণ প্যানেল ও সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশনের এমডি ইন্তেখাবুল হামিদের নেতৃত্ব জয় ধারা প্যানেল।
রিহ্যাবের পরিচালনা পর্ষদের ২৯ পদের মধ্যে ঢাকার জন্য বরাদ্দ ২৬ টি-এর বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৮৬ জন। চট্টগ্রামের তিনটি পরিচালক পদের বিপরীতে আছেন সাতজন জন। তবে জয় ধারা ও আবাসন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সব কটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ডেভেলপার্স ফোরাম ও নবজাগরণ প্যানেল যথাক্রমে ১০ ও ১৯ জন করে প্রার্থী দিয়েছে; চট্টগ্রাম অঞ্চলে তাদের প্রার্থী নেই।
জয় ধারা প্যানেলের নেতা ইন্তেখাবুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট হচ্ছে; এভাবে ভোট হলে ভালো ফলাফল আসবে।
আবাসন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতা মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। অনেক দিন রিহ্যাবে ভোট হয় না; এত দিন যারা ছিলেন, তাঁরা কখনো নির্বাচনের মুখোমুখি হননি। তিনি আরও বলেন, ভোটের প্রথম এক ঘণ্টায় যে পরিবেশ ছিল, সেটা বজায় থাকলে যারাই জয়ী হোক না কেন, আমরা মেনে নেব।
নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার দে বলেন, ভোট সুন্দর ও সুষ্ঠু হচ্ছে; ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই পরিবেশ বজায় থাকবে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আছেন; সি সি টিভি ক্যামেরার আওতায় আছে পুরো ভোটকেন্দ্র।