নিরীক্ষার নামে করদাতাদের হয়রানি বন্ধ চান দেশের ব্যবসায়ী–শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নেতারা। একই সঙ্গে আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন মূল্য, এইচএস কোড ও পণ্যের বর্ণনাসংক্রান্ত জটিলতা দূর করাসহ অসৎ কর্মকর্তাদের নিয়মনীতির আওতায় নিয়ে আসার অনুরোধ জানান তাঁরা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব অনুরোধ করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নেতারা। তাঁরা ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিকভাবে হয়রানি করলে সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এনবিআরকে একটি হটলাইন নম্বর, অ্যাপ বা অভিযোগ কেন্দ্র চালুর প্রস্তাব দেন।
আজ রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে রাজস্ব ভবনে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে ফেডারেশনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন, পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান ভূঁইয়া, এম এ রাজ্জাক খান, তপন কুমার মজুমদার, আবু মুরশেদ চৌধুরী, আবুল কাসেম খান, প্রীতি চক্রবর্তী, মো. আমির হোসেন নূরানী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। এফবিসিসিআইয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমদানি পণ্যের শুল্কায়নের প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, এনবিআরে ব্যাপক সংস্কার দরকার। বিশেষ করে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পৃথক করা জরুরি।
আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক আইন সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তনের জন্য তিনটি পৃথক টাস্কফোর্স গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের। এসব টাস্কফোর্সে এফবিসিসিআইসহ বেসরকারি খাতের অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে বলে ব্যবসায়ীদের জানান এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশকে সহজ করতে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যেন কোনো অন্যায় না হয়, সে বিষয়ে এনবিআর সজাগ থাকবে।’
এ সময় ঢালাওভাবে দোষারোপ না করে অসৎ কর্মকর্তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে তিনি ব্যবসায়ীদেরও সততার সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কর নিরীক্ষার ক্ষেত্রে আর মানুষ জড়িত থাকবে না। শিগগির এখানে অটোমেশন চলে আসবে। আমাদের টিমকে সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা অচিরেই কাজ শুরু করবে। পাশাপাশি রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে ধাপে ধাপে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে।’