ভারতের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আরও বেড়েছে। ৮ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ১০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৬৩৬ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে; গত দুই বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এ নিয়ে টানা তিন সপ্তাহ ভারতের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। ফলে ভারতের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছেছে। এর আগে ১ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ে ৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। তখন ভারতের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৬২৫ দশমিক ৬২৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে।
আরবিআইয়ের সাপ্তাহিক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ৮ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের মধ্যে ফরেন কারেন্সি অ্যাসেট বা বিদেশি মুদ্রায় রক্ষিত সম্পদের পরিমাণ ৮ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৫৬২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। এর মধ্যে অবশ্য সোনা মজুতের পরিমাণ কমেছে ২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার; মজুত করা সোনার মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ৫০ দশমিক ৭১৬ বিলিয়ন ডলার।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হরে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যায়, বেড়ে যায় ডলারের বিনিময় মূল্য; এ কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও ডলার–সংকট হয়। ফলে সে বছর ভারতের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৭১ বিলিয়ন ডলার কমে যায়, যদিও ২০২২ সালে তা ৫৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে যায়। এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের রিজার্ভ সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে; তখন ভারতের রিজার্ভ ছিল ৬৪৫ বিলিয়ন ডলার।
আমদানি মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া রুপির দরপতন ঠেকাতে বাজারে ডলার বিক্রি করে, সে কারণেও রিজার্ভ কমে যায়। অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এই প্রক্রিয়ায় বাজারে হস্তক্ষেপ করে।