আমদানির পরও সরকারি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না

ভারতীয় আলু বাজারে আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। বাজারে নতুন আলুও উঠেছে, তবে দাম চড়া।

আলু

চার দিন ধরে দেশের বাজারে আমদানি করা আলু বিক্রি হচ্ছে। এতে দাম একটু কমেছে, কিন্তু এখনো সরকারনির্ধারিত দামে আলু পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা বাজারে ক্রেতাদের বাড়তি দাম দিয়ে আলু কিনতে হচ্ছে। বাজারে পুরোনো আলুর পাশাপাশি নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে, যদিও তা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আমদানি করা আলু বাজারে আসার পর দেশের বাজারে আলুর দাম কমতে শুরু করেছে। তবে দাম যে খুব বেশি কমেছে, তা বলা যাবে না। বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকার মতো কমেছে। অর্থাৎ এখনো তা সরকারনির্ধারিত দামের কাছাকাছি আসতে পারেনি।

আলুর সরকারনির্ধারিত দাম কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। কিন্তু বাজার থেকে এখনো কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে আলু কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ৬০ টাকা কেজিতেই আলু কিনতে হচ্ছে।

সরকার খুচরা বাজারের পাশাপাশি হিমাগার পর্যায়েও আলুর দাম কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এদিকে বাজারে নতুন আলুও আসতে শুরু করেছে—এই আলুর দাম কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।

হাতিরপুল বাজারের মুদিদোকানি আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভারতীয় আলু বাজারে আসার পর পাইকারিতে দাম কমতে শুরু করেছে। খুচরায় আলুর দাম একটু কম রাখা যাচ্ছে। তবে সরকার যে দাম ঠিক করে দিয়েছে, দাম এখনো তার ধারেকাছে আসেনি। দাম যে হারে বেড়েছিল, সে হারে কমছে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার গত ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার তিন দিনের মাথায় দেশে আমদানির আলু আসতে শুরু করে। গতকাল রোববার পর্যন্ত আলু এসেছে ১ হাজার ৬৯৯ টন। সরকার এখন পর্যন্ত আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৪১৬ টন।

বাজারে আলুর দাম বাড়তে থাকলে সরকার দাম বেঁধে দিয়ে ও অভিযান চালিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। কেজিপ্রতি আলুর দাম ৭০ টাকায় উঠে গেলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এখন দাম কমতির দিকে। আলুর আগে সরকার ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণেও একই পথে হাঁটে। সেই ডিম গতকাল রাতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকেছে। আমদানির অনুমতি দেওয়ার দেড় মাস পর দেশে ডিমে এসেছে।