ক্রমাগত লোকসান দিচ্ছে প্রিমিয়ার লিজিং। এ পরিস্থিতিতে রাজধানীর মিরপুর শাখা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। একই সঙ্গে ২০২৩ সালের জন্য লভ্যাংশ দেবে না কোম্পানিটি। সেই বছর কোম্পানিটির লোকসান বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
গতকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০২৩ সালে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা; আগের বছর যা ছিল ১৫ টাকা ৯৭ পয়সা। অর্থাৎ ২০২৩ সালের কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে।
কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৬ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ ডিসেম্বর।
একই সঙ্গে চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রিমিয়ার লিজিং। দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে, অর্থাৎ ৯ মাসেও প্রিমিয়ার লিজিং লোকসানের ধারায় আছে। এ সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ২২ পয়সা; আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ৭৯ পয়সা।
একই সময়ে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের শেয়ারপ্রতি দায়ও বেড়েছে। গত এক বছরে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭ টাকা ৭০ পয়সা আর সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে প্রিমিয়ার লিজিং ৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ ছাড়া ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৫ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।