ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেনে গতি ফিরেছে। গতকাল ৮০০ কোটি টাকার ওপর লেনদেন হওয়ার পর আজও সকাল থেকে লেনদেনে ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। মূলত বিমা কোম্পানির শেয়ারের ওপর ভর করে এগোচ্ছে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার।
গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকার শেয়ারবাজারে বিমা খাতের দাপট চলছে। গতকাল বাজারে দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে, যার পরিমাণ ছিল ৮৬৮ কোটি টাকা। এই লেনদেনের প্রায় ৫৭ শতাংশ ছিল বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ার। আজও বাজারের লেনদেন ও শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে বিমা খাতের আধিক্য দেখা যাচ্ছে।
আজ দিনের প্রথম ঘণ্টায় বিমা খাতের লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া খাতভিত্তিক লেনদেনে তথ্য প্রযুক্তি ও আনুষঙ্গিক খাত এগিয়ে আছে। তবে বিমা খাতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শেয়ারবাজারেও কিছুটা গতি ফিরেছে। গতকালের মতো আজও প্রথম এক ঘণ্টায় ২৪১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই গতি অব্যাহত থাকলে আজও লেনদেন ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
স্বাভাবিকভাবে আজ বিমা খাতের কোম্পানিগুলোই লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় আধিপত্য করছে। অর্থাৎ পুরো বাজার এখন বিমা কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানিনির্ভর ছিল শেয়ারবাজার। কয়েক মাস ধরে ফু ওয়াং ফুড, এমারেল্ড অয়েল, জেমিনি সি ফুডের মতো কোম্পানির ওপর বাজার নির্ভরশীল ছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে শেয়ারবাজারে বিমা খাতের আধিপত্য দেখা যাচ্ছে। ফলে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর আধিপত্য কিছুটা কমেছে।
এদিকে লেনদেন গতি থাকলেও প্রথম ঘণ্টার পর বাজারের তিনটি সূচকই ছিল নিম্নমুখী। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট, ডিএসইএস সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৯১ পয়েন্ট, ডিএস ৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট।
লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে আছে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি; এই কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী লাইফের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকার। তৃতীয় স্থানে থাকা রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার।