দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাবেক সভাপতি হুমায়ূন কবির প্রশ্ন তুলেছেন, ‘শেয়ারবাজারে করসুবিধা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আত্মহত্যা ঠেকানো গেছে? ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পকেট ফাঁকা করা বন্ধ করা গেছে? আমরা করসুবিধা দিয়ে শেয়ারবাজারের সবকিছু ঠিক করতে চাই।’
আজ শনিবার প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আইসিএবি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ূন কবির কথাগুলো বলেন। তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বা মৌলভিত্তির ওপর নির্ভর করে শেয়ারবাজার চাঙা হওয়ার বিষয়। করকাঠামোর জন্য শেয়ারবাজারের এই পরিস্থিতি হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কারওয়ানবাজারে আইসিএবি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে পেশাজীবী এই সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন বক্তব্য দেন।
ব্যক্তিশ্রেণির কালোটাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়টি সমর্থন করছে না আইসিএবি; আবার বিরোধিতাও করেনি সংস্থাটি। এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন বলেন, ‘ব্যক্তিশ্রেণির অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত; তাই এ বিষয়ে মন্তব্য নেই। তবে আমরা নৈতিকতার মান বজায় রাখার পক্ষে।’ প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার পক্ষে আইসিএবি।
এ দিকে সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন আইসিএবির সদস্য স্নেহাশীষ বড়ুয়া। তিনি বলেন, সরকারি ব্যাংক তুলনামূলক বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে কম ঋণ পাবে। ফলে বিনিয়োগ কম হবে। এনবিআরকে যে বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, তা বিঘ্নিত হবে। তাঁর মতে, এই বাজেটে নতুন কর হারের কারণে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের নিচের দিকের এবং ওপরের দিকের করদাতারা চাপে থাকবেন; মধ্যপর্যায়ের করদাতারা কিছুটা সুবিধা পাবেন।