দেশের শেয়ারবাজারে আসছে চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি ব্যাংক। বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক সভায় কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন করা হয়েছে। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসি জানায়, এনআরবি ব্যাংক ১০ কোটি শেয়ার ছাড়বে। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে বা অভিহিত মূল্যে বিক্রি করা হবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ টাকা সরকারি বিভিন্ন সিকিউরিটিজ ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোকে অনুমোদনের সময় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়। সেই শর্ত পূরণেই ব্যাংকটি শেয়ারবাজারে আসছে।
আইপিও অনুমোদনের তথ্যে বিএসইসি জানিয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম ৯ মাস জানুয়ারি–সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া প্রকৃত সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭২ পয়সা। আর প্রতিটি শেয়ারে আয় বা ইপিএস ২৭ পয়সা। আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসি শর্তও দিয়েছে ব্যাংকটিকে। সেই শর্ত অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন ও বিতরণ করতে পারবে না। ব্যাংকটিকে শেয়ারবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট ও শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।
এনআরবি ব্যাংকের আইপিও অনুমোদন ছাড়াও বিএসইসির গতকালের সভায় তালিকাভুক্ত কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ১৫০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করা হয়। এ বন্ডের ৬০ শতাংশ শেয়ারে রূপান্তর হবে। বন্ডের কুপন রেট বা সুদহার হবে ৮ থেকে ১০ শতাংশ। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করা হবে। এর প্রতিটি ইউনিটের দাম হবে এক লাখ টাকা। বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা টাকায় কোম্পানিটি ব্যাংকঋণ পরিশোধ করবে।