শেয়ারবাজারের লেনদেনের খরা কিছুতেই কাটছে না। এক দিন বাড়ে তো অন্যদিন আবার তলানিতে। বেশ কিছুদিন ধরে এভাবেই চলছে শেয়ারবাজার।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন আজ মঙ্গলবার আবারও ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। আজ ঢাকার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৭২ কোটি টাকা, যা গতকালের চেয়ে ১৮ শতাংশ বা ৪৬ কোটি টাকা কম। গতকাল সোমবার এ বাজারে লেনদেন ৩০০ কোটি ছাড়িয়েছিল।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, লেনদেন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তা। বাজারের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারেই কোনো লেনদেন হচ্ছে না। কারণ, সেগুলো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে।
ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া ২৮৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০১টিরই শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় দামের কোনো হেরফের হয়নি। ফলে এসব শেয়ারের ইতিবাচক কোনো প্রভাবই ছিল না সূচকে। এ ছাড়া লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৮টির। আর কমেছে ৫৬টির। অর্থাৎ হাতে গোনা যে কয়টা প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের হাতবদল হয়েছে, তার বেশির ভাগেরই দাম কমেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সূচকে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৯৩ পয়েন্টে।