শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ পুঁজিবাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিলে (সিএমএসএফ) জমা দিতে বিলম্বের জন্য জরিমানার বিধান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিজ যদি অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ তহবিলে জমা দিতে বিলম্ব করে, তবে প্রতি মাসের জন্য ২ শতাংশ হারে জরিমানা দিতে হবে। একইভাবে অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ তহবিলে স্থানান্তরে প্রতি মাসের বিলম্বের জন্যও গুনতে হবে ২ শতাংশ হারে জরিমানা। তবে বোনাস লভ্যাংশের ক্ষেত্রে এ জরিমানা নির্ধারিত হবে শেয়ারের বাজারমূল্যের ওপর ভিত্তি করে।
এ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অবণ্টিত অধিকারমূলক শেয়ার বা রাইট শেয়ার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ে থাকা বিনিয়োগকারীদের চাঁদার অর্থ সময়মতো তহবিলে স্থানান্তর না করলেও প্রতি মাসের বিলম্বের জন্য ২ শতাংশ হারে জরিমানা গুনতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য লভ্যাংশ বা রাইট শেয়ার বা চাঁদার অর্থ পরপর তিন বছর অবণ্টিত অবস্থায় পড়ে থাকলে তা পুঁজিবাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিলে জমা দিতে হয়। ২০২১ সালের জুনে এ–সংক্রান্ত আইন করে বিএসইসি। এরপর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন সিকিউরিটিজ পড়ে থাকা অদাবিকৃত বা অবণ্টিত লভ্যাংশ সিএমএসএফে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, আইন করার পরও অনেক প্রতিষ্ঠান অবণ্টিত লভ্যাংশের অর্থ সময়মতো তহবিলে জমা দিচ্ছে না। এ কারণে জরিমানার এ বিধান করা হয়েছে।