শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

বেলা বাড়ার সঙ্গে ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে ঢাকার শেয়ারবাজার

দেড় বছর পর মূল্যস্তর উঠে যাওয়ার পর আজ সকালে লেনদেনের শুরুতে ঢাকার শেয়ারবাজার যে ধাক্কা খেয়েছিল, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে। শুরুতে সূচকের বড় পতন হলেও পরে বাজার তা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে।

আজ দিনের লেনদেন শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে সূচক ২০৫ পয়েন্ট কমে গিয়েছিল। পরে বাজার ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষে সব মিলিয়ে সূচকের পতন হয়েছে ১৪০ পয়েন্ট। অর্থাৎ সূচক পুনরুদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬৫ পয়েন্ট।

দিনের প্রথম পাঁচ মিনিটে যেসব কোম্পানির লেনদেন হয়েছিল, তাদের মধ্যে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছিল। তবে এখন কিছু কিছু শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। শুরুতে যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম অনেক কমে গিয়েছিল, সেই সব কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতারাও ফিরতে শুরু করেছেন। ফলে দামও বাড়ছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার শেয়ার। বাজার সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, এটি ইতিবাচক।

বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহী প্রথম আলোকে বলেছেন, দীর্ঘদিন মূল্যস্তর থাকায় অনেক বিনিয়োগকারী লেনদেনের সুযোগ পাননি। ফলে দিনের শুরুতে শেয়ার বিক্রির চাপ থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমছে।

এর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো নিজেরাও শেয়ার কিনে বাজার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে তদারকি। বিক্রির চাপ কমে আসায় সূচক কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়েছে।

দিন শেষে সূচক কতটা পুনরুদ্ধার হতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। দুই ঘণ্টা লেনদেনের পর ঢাকার শেয়ারবাজারে শীর্ষস্থানে ছিল বিডি থাই; দ্বিতীয় স্থানে ছিল সি পার্ল হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট। যেসব শেয়ারের দাম বাড়ছে তার মধ্যে আছে বিডি থাই; আছে বহুজাতিক ও ওষুধ খাতের কোম্পানি।

আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩৭৬টি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে; দাম বেড়েছে ২৭টি কোম্পানির আর অপরিবর্তিত আছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ার।