গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। আজ সপ্তাহের শেষ দিন পৌনে তিন ঘণ্টা লেনদেনের পর সূচক ১৫ পয়েন্ট বাড়লেও এখনো তা ছয় হাজারের নিচে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল বুধবার ৩৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে নেমে আসে। বেলা ১২ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত তা ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯৮৯ পয়েন্টে উঠে আসে। ডিএসইএক্সের ৬ হাজার পয়েন্ট এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক সীমা, অনেকে যাকে বাজারের মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করেন।
আজ ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমেছে; বেলা ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ও রেনেটার মতো ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। সে জন্য শেয়ার সূচক তেমন একটা বাড়ছে না।
গত জানুয়ারি মাসে শেয়ারবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর থেকে সূচকের পতন চলছে। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল প্রধান সূচক ছয় হাজারের নিচে নেমে আসে। আজ দিনের পৌনে তিন ঘণ্টা লেনদেনের পরও ডিএসইএক্স ছয় হাজারের নিচে।
আজ দিনের পৌনে তিন ঘণ্টা লেনদেনের পর লেনদেনের শীর্ষে ছিল এসএস স্টিল; দ্বিতীয় স্থানে ছিল গোল্ডেনসন; তৃতীয় স্থানে ছিল লাভেলো। গোল্ডেনসন বি শ্রেণিভুক্ত কোম্পানি; গত বছর তারা বিনিয়োগকারীদের দুই শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। বাকি দুটি কোম্পানিও দুর্বল প্রকৃতির।
বাজার সংশ্লিষ্ট মানুষেরা বলছেন, ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা বছরের পর বছর ধরে লোকসান দিচ্ছেন। সে জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছে না। কারসাজির মাধ্যমে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বেলা ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৩০০ কোটি টাকার মতো শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১টি কোম্পানির; দাম কমেছে ৯৭টি কোম্পানির আর অপরিবর্তিত আছে ৬০টি কোম্পানির।