শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

আজও ঢাকার শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান-পতন, লেনদেনের শীর্ষে গ্রামীণ ফোন

গত দুই দিনের মূল্য সংশোধনের পর আজও ঢাকার শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান-পতন হচ্ছে। দিনের প্রথম ভাগে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও এখন বাড়ছে।

লেনদেনের প্রথম ৩০ মিনিটে ঢাকার বাজারের তিনটি সূচকই ছিল ঊর্ধ্বমুখী। পরে দুটি সূচক নিম্নমুখী হয়ে যায়। তবে এক ঘণ্টা লেনদেনের পর বাজারের তিনটি সূচকই ছিল ঊর্ধ্বমুখী।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর থেকে গ্রামীণ ফোনের শেয়ারের দাম বাড়ছে। কিন্তু গতকাল গ্রামীণ ফোনের রেকর্ড তারিখ থাকায় লেনদেন বন্ধ ছিল। আজ আবার তা শুরু হয়েছে এবং দিনের শুরু থেকেই এই কোম্পানি লেনদেনের শীর্ষে আছে। কোম্পানিটির শেয়ারের দামও বেড়েছে আজ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৬ আগস্ট থেকে ঢাকার শেয়ারবাজারে ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এখন সেই সব শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিচ্ছেন, এটাই স্বাভাবিক। মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতার কারণে বাজারে উত্থান-পতন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বাজারের লেনদেনই মুখ্য বিষয়; লেনদেনে গতি থাকলে কোন কোম্পানির শেয়ারের দাম কত বাড়ল বা কমল, তা বিবেচ্য হয় না। এতে বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

আজ দিনের প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে লেনদেন ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি ইতিবাচক।

শীর্ষস্থানীয় এক ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী বলেন, আজও বাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বেশ সক্রিয়। বিশেষ করে সম্পদশালী বিনিয়োগকারীরা; যারা নিজের নামে বা প্রতিষ্ঠানের নামে বিনিয়োগ করে থাকেন, তাঁরা বাজারে সক্রিয় আছেন। সে জন্য বাজারে লেনদেনের গতি আছে।

সেই প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, সূচকের উত্থান-পতন স্বাভাবিক নিয়মেই ঘটছে। গত কয়েক দিনে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এখন সেই কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য সংশোধন হবে।

দিনের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনের শীর্ষে ছিল গ্রামীণ ফোন; এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ১০ লাখ টাকার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বেক্সিফার্মা; এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। তৃতীয় স্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক; এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার।

আজ গ্রামীণ ফোনের শেয়ারের দাম অনেকটা ওঠানামা করছে; একপর্যায়ে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩৮২ টাকায় ওঠে; এরপর তা ৩৬৫ টাকায় নেমে যায়।

দিনের প্রথম এক ঘণ্টায় মোট ৪৬০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৬টি কোম্পানির শেয়ারের; দাম কমেছে ১৮০টি কোম্পানির আর অপরিবর্তিত আছে ৫৬টি কোম্পানির।