দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা এখন আস্থার সংকটে ভুগছেন। লেনদেন নিয়মিত কমছে। নিম্নমানের কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ফ্লোরপ্রাইসের কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে না। এমনই এক প্রেক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শেয়ারবাজার নিয়ে আবার স্বপ্ন দেখালেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পর চাঙা অর্থনীতির সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে বিনিয়োগকারীদের এখন শেয়ারবাজারে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) তিনি বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মসৃণ। বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে আরও বিনিয়োগ করার এটাই সেরা সময়। জাতীয় নির্বাচনের পর অর্থনীতি আবার চাঙা হবে এবং সেই চাঙা অর্থনীতি থেকে তাঁরা (বিনিয়োগকারীরা) সর্বোচ্চ সুবিধা লাভ করবেন।
জাতীয় নির্বাচনের পর শেয়ারবাজার চাঙা হবে—এমন আশা প্রকাশ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহলকে আর খেলার সুযোগ দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক পুঁজিবাজারে ব্যাপক উত্থান-পতন দেখা গেলেও বাংলাদেশে সে ধরনের অস্থিরতা দেখা যায়নি। বর্তমান চ্যালেঞ্জিং সময়ে খুব বেশি লাভ করতে না পারলেও বিনিয়োগকারীরা যাতে কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হন, সে জন্য কমিশন কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, দেশের শিল্পায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে দেশ উপকৃত হবে। অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের জন্য একটি সুবর্ণ সময় হতে যাচ্ছে।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, নিয়মনীতি পরিপালনে বিএসইসি কঠোর অবস্থান নেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বিএসইসির আইন, তদারকি ও নজরদারি শাখা সর্বদা সজাগ রয়েছে। সুতরাং স্বার্থান্বেষী মহলের অন্যায় করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। অনেক গবেষণা সংস্থাও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেক বিনিয়োগকারী এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান।