শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

ব্যবসা বাড়াতে রাইট শেয়ার দেবে জিপিএইচ ইস্পাত, বেড়েছে শেয়ারের বাজারমূল্য

বিদ্যমান ইস্পাত ব্যবসা আরও বড় করতে শেয়ারবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করবে ইস্পাত খাতের কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কাছে নতুন করে অধিকারমূলক বা রাইট শেয়ার বিক্রি করে ২৪২ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। ২২ আগস্ট কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভায় নেওয়া এ সিদ্ধান্তের কথা আজ দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে কোম্পানিটি। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাইট শেয়ার ইস্যুর এ সিদ্ধান্তের অনুমোদনের জন্য বিশেষ সাধারণ সভা বা ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ অক্টোবর। ইজিএমে অনুমোদনের পর কোম্পানিটি রাইট শেয়ারের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করবে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা বিদ্যমান তিনটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিটি রাইট শেয়ারের বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ টাকা। যার মধ্যে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু। বাকি ৫ টাকা অধিমূল্য বা প্রিমিয়াম। কোম্পানিটি এ যাত্রায় রাইট শেয়ার হিসেবে প্রায় ১৬ কোটি নতুন শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থ বিনিয়োগ করা হবে ব্যবসা সম্প্রসারণে।

জিপিএইচ ইস্পাত জানিয়েছে, রাইট শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করে ব্যবসা বড় করার যে পরিকল্পনা তারা নিয়েছে, সেটি বাস্তবায়িত হলে বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব আয় ৪৫০ কোটি টাকা বাড়বে। শেয়ারধারী ও সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

এদিকে রাইট শেয়ার ইস্যুর খবরে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আজ রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের কিছুটা বাড়তি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তাতে শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি এটি লেনদেনের শীর্ষ ২০ কোম্পানির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। আজ লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টায় জিপিএইচ ইস্পাতের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য এক টাকা বা পৌনে ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকায়।

২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় জিপিএইচ ইস্পাত। সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের বোনাস ও নগদ মিলিয়ে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। যার মধ্যে ছিল ৫ শতাংশ বোনাস ও ৫ শতাংশ নগদ। চলতি বছরের জুনে আরও একটি আর্থিক বছর শেষ করেছে কোম্পানিটি। তবে এ আর্থিক বছরের জন্য এখনো কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি কোম্পানিটি। কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন প্রায় ৪৮৪ কোটি টাকা। রাইট শেয়ার ইস্যু করলে এই মূলধন দেড় শ কোটি টাকার বেশি বাড়বে।