শেয়ারবাজার

পতন ঠেকাতে কৃত্রিমভাবে সূচক বাড়ানোর চেষ্টা

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। এতে ডিএসইতে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নীচে নেমে যায়; পাশাপাশি ডিএসইর মূল্যসূচকও কমেছে। এ অবস্থায় বাজারে লেনদেন যেন আরও কমে না যায়, সে জন্য কৃত্রিমভাবে সূচক বাড়ানোর চেষ্টা করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বাজার সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস আজ বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন শীর্ষ পর্যায়ের ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে শেয়ারের বিক্রি থামিয়ে সূচক বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে শেয়ারের বিক্রি কমানো হলেও প্রথম এক ঘণ্টায় বিক্রিতে খুব ভালো গতি দেখা যায়নি।

আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার মতন। এই সময়ে লেনদেনে শীর্ষে ছিল খাদ্য, সিরামিক, টেক্সটাইল, হোটেল রিসোর্ট, পাট, পলিমার, পাইপ, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং খাতের কোম্পানিগুলো।

প্রথম এক ঘণ্টায় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ফু ওয়াং ফুড লিমিটেড। প্রথম ঘণ্টায় কোম্পানিটির প্রায় ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এটির মোট ৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। প্রথম এক ঘণ্টায় এটির প্রায় ৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই ছিল নিম্নমুখী। এর মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসই এক্স ৬ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২০৩ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক শূন্য দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে ও ডিএস৩০ সূচক প্রায় ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল রোববার ডিএসইতে প্রায় ২৯৭ কোটি ২০ লাখ টাকার লেনদেন হয়।