গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরে শেয়ারধারীদের ৩৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ইলেকট্রনিকন খাতের দেশীয় জায়ান্ট কোম্পানি ওয়ালটন। ২০২০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর এটিই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে সাধারণ শেয়ারধারীদের জন্য ঘোষিত সর্বোচ্চ লভ্যাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত জুনের অর্থবছরে কোম্পানি ভালো ব্যবসা করেছে। তাতে মুনাফাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। গত জুন শেষে ওয়ালটনের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ টাকায়। গত বছরের জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছর শেষে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ওয়ালটনের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ১৯ টাকা বা ৭৩ শতাংশ বেড়েছে।
ওয়ালটন জানিয়েছে, আগের বছরের তুলনায় গত জুনে সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। পাশাপাশি সুদ ব্যয়ও কমেছে। এ কারণে বছর শেষে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকায়। মুনাফা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ শেয়ারধারীদের জন্য রেকর্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। সাধারণ শেয়ারধারীদের প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ৩৫০ শতাংশ বা ৩৫ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হলেও কোম্পানির উদ্যোক্তাদের দেওয়া হবে শেয়ারপ্রতি ২০০ শতাংশ বা ২০ টাকা লভ্যাংশ।
২০২০ সালে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এরপর ২০২৩ সালের জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছর শেষে সর্বোচ্চ ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। এবার তা বেড়ে ৩৫০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে রেকর্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও আজ বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এদিন ওয়ালটনের প্রতিটি শেয়ারের দাম ৩৪ টাকা বা প্রায় ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭৫ টাকায়। দিন শেষে এটির সাড়ে ১০ কোটি টাকার সমমূল্যের শেয়ার হাতবদল হয়।