সপ্তাহের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকে নেতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ, বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ারের দরপতন। এ কোম্পানিটির ফ্লোরপ্রাইস উঠে গেছে গত সোমবার। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমার সঙ্গে সূচকেও বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আজ ডিএসইর প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেনে নেতিবাচক ধারা দেখা গেছে; দুপুর ১২টায় ডিএসইর তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এ সময়ে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৩১৭ কোটি টাকা।
বেলা ১২টা পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেনের শীর্ষে ছিল সিরামিক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, প্রকৌশল, ফার্মাসিউটিক্যালস, ট্যানারি, খাদ্য ও বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর পাশাপাশি গ্রামীণফোনের শেয়ারের দরপতনও সূচকে প্রভাব ফেলেছে। গ্রামীণফোনের ফ্লোরপ্রাইস উঠে গেছে গত রোববার। এরপর গ্রামীণফোন ও বিএটিবিসি-এ দুটি কোম্পানির শেয়ারের দামের উত্থান-পতনের সঙ্গে সঙ্গে সূচকেরও উত্থান-পতন হচ্ছে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ারের দাম এখন পর্যন্ত ১০ টাকা কমেছে।
এ ছাড়া আজকের সূচকের পতনে এখন পর্যন্ত যেসব কোম্পানির শেয়ার ভূমিকা রাখছে সেগুলো হলো-বেক্সিমকো ফার্মা ও পূবালী ব্যাংক। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এসব কারণে সূচকটিও নেতিবাচক ধারায় রয়েছে।
আজ সকাল থেকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার। প্রথম দুই ঘণ্টায় কোম্পানিটির প্রায় ২৫ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। এই কোম্পানির মোট ১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের কোম্পানি গোল্ডেন সন লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এই কোম্পানির প্রায় ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গতকাল বুধবার দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ৮ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ১০৬ পয়েন্টে ওঠে। গতকাল ডিএসইতে প্রায় ৭৩০ কোটি টাকার লেনদেন হয়।