শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

স্কয়ার ফার্মা ও ব্র্যাক ব্যাংকের দরপতনের বড় প্রভাব সূচকে

শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা আজ মঙ্গলবারও অব্যাহত রয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ প্রথম দেড় ঘণ্টায় ২৮ পয়েন্টে কমে নেমে এসেছে ৫ হাজার ৩০৬ পয়েন্টে। এ দরপতনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ার।

শেয়ারবাজারের শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউস লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও ব্র্যাক ব্যাংকের। এ দুটি কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে প্রথম দেড় ঘণ্টায় ডিএসইএক্স সূচকটি কমেছে ২৫ পয়েন্ট। এর মধ্যে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারের ৬ টাকা বা প্রায় আড়াই শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ১৫ পয়েন্ট। আর ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারের পৌনে ৩ টাকা বা ৫ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ১২ পয়েন্ট। সেই হিসাবে বাজারে সূচকটি যতটা কমেছে, তার পেছনে বড় ভূমিকা এ দুই কোম্পানির।

এর আগে গতকাল সোমবার ডিএসইএক্স সূচকটি ৪৪ পয়েন্ট বা পৌনে ১ শতাংশের বেশি কমেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজও সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বাজারে। যদিও দিনের শুরুটা হয়েছিল সূচকের উত্থানে। কিন্তু সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে শেয়ারবাজারে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা গতি সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু দুই মাস না যেতেই সেই গতি হারিয়ে গেছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও হতাশা দেখা দিয়েছে। দরপতনে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা এরই মধ্যে কয়েক দিন বিক্ষোভও করেছেন রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসইর পুরোনো ভবন ও আগারগাঁওয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ভবনের সামনে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সাম্প্রতিক দরপতনের ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। ব্যক্তিশ্রেণি থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই এখন বাজারে নিষ্ক্রিয়। এর ফলে লেনদেনেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ঢাকার বাজারে লেনদেন নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে। আজও প্রথম দেড় ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে লেনদেন হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। বাজারে ক্রেতাসংকট দেখা দেওয়ায় বিক্রেতারা তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। সব মিলিয়ে বাজারে একধরনের মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।