দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধাক্কা লেগেছে শেয়ারবাজারেও। দ্রুতগতির ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় শেয়ারবাজারের বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী অনলাইন লেনদেনে অংশ নিতে পারছেন না। এর ফলে বাজারে দরপতন চলছে। সেই সঙ্গে লেনদেনের গতিও শ্লথ হয়ে গেছে।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত পৌনে চার ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে মাত্র ২৭৫ কোটি টাকার। এ সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। তাতে ডিএসইএক্স সূচকটি নেমে এসেছে ৫ হাজার ৪৪৬ পয়েন্টে।
একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বর্তমান সময়ে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ ঘরে বসে মুঠোফোনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেনে অংশ নেন। কিন্তু আজ সকাল থেকে এ লেনদেন মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে মুঠোফোনে ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায়। এ কারণে খুব বেশি লেনদেন হচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় একটি ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দৈনিক লেনদেনের একটি বড় অংশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা মোবাইলের মাধ্যমে করে থাকেন। কিন্তু সেই লেনদেন আজ বলতে গেলে একেবারেই নেই। ফোন করে যেসব বিনিয়োগকারী ক্রয়-বিক্রয়ের আদেশ দিচ্ছেন তার ভিত্তিতে লেনদেন হচ্ছে। এ ছাড়া নিজেদের কিছু পোর্টফোলিও বিনিয়োগের মাধ্যমে কিছু লেনদেন করা হচ্ছে।’
ঢাকার বাজারে আজ লেনদেনের প্রথম পৌনে চার ঘণ্টায় লেনদেন হওয়া ৩৯৪ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩২৩টিরই দাম কমেছে। দাম বেড়েছে ৩৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টির দাম। এ সময়ে লেনদেনের শীর্ষে ছিল সিপার্ল বিচ রিসোর্চ হোটেল। পৌনে চার ঘণ্টায় কোম্পানিটির প্রায় ১৬ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। এ সময় কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ বা আড়াই টাকা কমেছে।