শেয়ারধারীদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে লাভেলো আইসক্রিম। গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি, যার মধ্যে ১০ শতাংশ বোনাস ও ১০ শতাংশ নগদ। সেই হিসাবে কোম্পানিটির একজন শেয়ারধারী যাঁর হাতে ১০০ শেয়ার রয়েছে, তিনি ১০টি বোনাস শেয়ার ও ১০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন।
এদিকে আর্থিক বছর শেষে লভ্যাংশ ঘোষণা ও মুনাফা বৃদ্ধির খবরে আজ রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। লেনদেনের প্রথম ৪৫ মিনিটে অর্থাৎ পৌনে ১১টা পর্যন্ত এটির ১২ কোটি টাকা সমমূল্যের শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। এ সময়ে প্রতিটি শেয়ারের দাম ২ টাকা ৭০ পয়সা বা আড়াই শতাংশের বেশি বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৯৭ টাকায়।
বেশ কিছুদিন ধরে কোম্পানিটির শেয়ার ঢাকার বাজারে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে। গত ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম প্রায় ১৬ টাকা বেড়েছে। ৩ অক্টোবর লাভেলোর প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৮১ টাকা। আজ প্রথম এক ঘণ্টার লেনদেন শেষে যা বেড়ে ৯৭ টাকায় উঠেছে।
লাভেলো আইসক্রিম ২০২১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, তালিকাভুক্তির পর এবারই শেয়ারধারীদের জন্য সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। গত বছর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আর ২০২১ ও ২০২২ সালে নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১১ ও ১২ শতাংশ।
গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা। গত বছর শেষে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ২৪ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ১৯ পয়সা বা ১৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে।