শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

কারখানা বন্ধ এমারেল্ড অয়েলের, দিনের শুরুতেই শেয়ারের দরপতন

গ্যাসসংকটে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল। কোম্পানিটি আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের এই তথ্য জানিয়েছে। তবে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও কোম্পানিটি নিজে থেকে এই তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানায়নি। ডিএসই কর্তৃপক্ষের এক চিঠির জবাবে তারা এই তথ্য দিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির কারখানা বন্ধসহ কোম্পানির যেকোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বিনিয়োগকারীদের তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কোম্পানির পক্ষ থেকে সেই আইন মেনে কারখানা বন্ধের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি; বরং একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কোম্পানির কাছে জানতে চায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। ডিএসইর সেই চিঠির জবাবে জানা গেছে, কোম্পানিটির কারখানা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কবে থেকে কারখানাটি বন্ধ রয়েছে, তা কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

ডিএসইর চিঠির জবাবে কোম্পানিটি শুধু জানিয়েছে, গ্যাস স্বল্পতার কারণে আপাতত উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে কারখানার উৎপাদন পুরোদমে সচল রাখতে কোম্পানিটি এরই মধ্যে ১২ মেট্রিক টন সক্ষমতা ব্রয়লার আমদানি করেছে। আমদানি করা এই ব্রয়লার স্থাপনের কাজ শেষ হলে কোম্পানিটি দ্রুতই উৎপাদনে ফিরবে। কারখানা বন্ধ থাকলেও কোম্পানিটি তাদের কোনো কর্মী ছাঁটাই করেনি বলেও জানিয়েছে।

এদিকে কারখানা বন্ধের খবরে আজ বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে। ঢাকার বাজারে লেনদেনের প্রথম ৪৫ মিনিটে এটির শেয়ারের দাম ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫ শতাংশের বেশি কমে নেমে এসেছে ২৫ টাকা ৭০ পয়সায়।

এমারেল্ড অয়েল দীর্ঘদিন বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানি ছিল। কোম্পানিটির মূল উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণখেলাপি ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। ২০২১ সালে বন্ধ কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে এটি মালিকানায় নতুন গোষ্ঠীকে যুক্ত করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তৎকালীন কমিশন। কোম্পানিটির পরিচালনায় যুক্ত হয় মিনোরি বাংলাদেশ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ও তার উদ্যোক্তা মিয়া মামুন। যাঁর বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজিসহ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে গত আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর মিয়া মামুন গ্রেপ্তার হয়েছেন।