নতুন বছরে গতিশীল হবে শেয়ারবাজার

১৯৯৫ সাল থেকে আমি শেয়ারবাজারের সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যখনই বাজারের স্বার্থে নতুন কিছু নিয়মকানুন চালু করা হয়, তখনই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী তথা বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউস, বড় ব্যবসায়ী—সবাই চুপচাপ হয়ে যান। কিছুদিনের জন্য তাঁরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যখন দেখেন, প্রতিষ্ঠানগুলো নিষ্ক্রিয়, তখন তাঁরাও নতুন করে বিনিয়োগের সাহস দেখান না।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি গভীরভাবে খতিয়ে দেখে, তাহলে দেখা যাবে, অনেকের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে টাকা আছে; কিন্তু বাজারে বিনিয়োগ করছেন না। তার মানে, সংকটটি টাকার নয়।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ইচ্ছার সমস্যা। যদিও এ ধরনের নিষ্ক্রিয়তা বাজার ও বিনিয়োগকারী কারও জন্য সহায়ক নয়। গত ছয় মাস আগেও বাজারে যাঁরা অধিক সক্রিয় ছিলেন, তাঁরা কেন হঠাৎ নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাইলে সেই তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। আমি মনে করি, শেয়ারবাজারের এখনকার যে সমস্যা, তা অনেকটাই সুপরিকল্পিত।

তবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনো ভীত হই না। কারণ, বাজার ঘুরে দাঁড়াবেই। একটি বাজার কখনো ধারাবাহিকভাবে খারাপ হতে পারে না। আবার আমরা দেখছি, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ অনেক গুণ বাড়িয়েছে, যা বাজারের জন্য ইতিবাচক।

তবে দ্বৈত করের কারণে অনেকে নগদ লভ্যাংশের প্রতি খুব বেশি আগ্রহী হচ্ছেন না। তাই সরকারের উচিত দ্বৈত কর পরিহারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। আমি মনে করি, নতুন বছরে এ বিষয়ে উদ্যোগী হবে সরকার।

আরিফ মাসুদ চৌধুরী, বিনিয়োগকারী