বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ট্রাস্ট ব্যাংক। এর মধ্যে ১২ শতাংশ দেওয়া হবে নগদ লভ্যাংশ আকারে; আর বাকি ৮ শতাংশ দেওয়া হবে বোনাস লভ্যাংশ হিসেবে।
গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হওয়া সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য শেয়ারধারীদের এ লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি।
ট্রাস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। আজ রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে নিয়ম অনুযায়ী আজ ব্যাংকটির শেয়ারের দামের উত্থান-পতনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সীমা আরোপ থাকছে না।
২০২২ সালেও বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ট্রাস্ট ব্যাংক। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ ছিল ১০ শতাংশ; বাকিটা বোনাস লভ্যাংশ।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ হিসাববছরে ট্রাস্ট ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৯৭ পয়সা, যা ২০২২ সালে ছিল ৩ টাকা ৪১ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ।
সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৭ টাকা ২৪ পয়সা। এটি ২০২২ সালে ছিল ২৩ টাকা ৬১ পয়সা। এ ছাড়া গত বছর ট্রাস্ট ব্যাংকের নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ হয়েছে ১০ টাকা ৬৪ পয়সা, যা এর আগের বছর ছিল ৫ টাকা ১৮ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ১৬ জুলাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাস্ট ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন করবেন। এ জন্য আগামী ২৯ মে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়া প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রাস্ট ব্যাংক। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা।
প্রথম প্রান্তিক শেষে ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৩ টাকা ৮০ পয়সা।
এ ছাড়া আলোচ্য সময়ে (জানুয়ারি-মার্ট ২০২৪) ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নগদ অর্থের প্রবাহ হয়েছে ৭ টাকা ৬৭ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময়ে ১ টাকা ৩৮ পয়সা ঋণাত্মক ছিল।