হঠাৎ বড় দরপতনে নড়েচড়ে বসেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। লেনদেন শেষে গতকালই বাজার তদারকির সঙ্গে যুক্ত বিএসইসি ও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্মকর্তারা যৌথ সভা করেছেন। সভায় ১১টি ব্রোকারেজ হাউস ও বেশ কিছু ট্রেডারের কার্যক্রম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ১১টি ব্রোকারেজ হাউস থেকেই গতকাল সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি হয়েছে।
দেশের শেয়ারবাজারে গতকাল হঠাৎ বড় দরপতন ঘটে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক দিনেই ১৪৩ পয়েন্ট বা আড়াই শতাংশ কমে যায়। এতে দিন শেষে ঢাকার বাজারের প্রধান সূচকটি কমে সাড়ে ৫ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি চলে এসেছে। অথচ আগের দিন বৃহস্পতিবারও ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৬ পয়েন্ট বা প্রায় সোয়া ১ শতাংশ বেড়েছিল। এমন অবস্থায় সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া গতকালের বড় ধরনের দরপতনকে অস্বাভাবিকই মনে করছে বিএসইসি। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ডিএসইর বাজার তদারকির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জরুরি সভা করেন।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, আজ সোমবার থেকে দুই সংস্থা লেনদেন শুরুর আগে থেকেই বাজার তদারকিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে সার্বক্ষণিক তদারকিতে যুক্ত থাকতে বলা হয়েছে।
বিএসইসি ও ডিএসইর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মাত্র ৬ কোম্পানির দরপতনেই ৮০ পয়েন্টের বেশি সূচক কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা ও লংকাবাংলা ফিন্যান্স। এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা ও লংকাবাংলা ফিন্যান্স দরপতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় ছিল গতকাল।
১১টি ব্রোকারেজ হাউস থেকে এসব শেয়ার বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। যেসব ব্রোকারেজ হাউস থেকে গতকাল বেশি শেয়ার বিক্রি হয়েছে, তারা নিয়ম মেনে বিক্রি করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।