বানকো সিকিউরিটিজ নামের একটি ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন কার্যক্রম স্থগিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার থেকে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন কার্যক্রমের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি গতকাল সোমবার রাতে ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কর্তা ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ব্রোকারেজ হাউসটির বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবে প্রাথমিকভাবে ৬৬ কোটি টাকার অর্থ ঘাটতি দেখা দেওয়ায় ডিএসই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
জানতে চাইলে ডিএসইর সভাপতি ইউনুসুর রহমান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ব্রোকারেজ হাউসটির লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ব্রোকারেজ হাউসটির বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবে প্রাথমিকভাবে ৬৬ কোটি টাকার অর্থ ঘাটতি দেখা দেওয়ায় ডিএসই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারেজ হাউসের (বর্তমানে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সাটিফিকেট বা ট্রেক হিসেবে পরিচিত) মাধ্যমে লেনদেনে অংশ নেন। শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগকারীরা তাঁদের পছন্দের ব্রোকারেজ হাউসে খোলা বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের বিপরীতে টাকা জমা দেন। একটি ব্রোকারেজ হাউসে হাজার হাজার বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব থাকে।
এসব বিও হিসাবে জমা হওয়া টাকা সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউস তাদের ব্যাংক হিসাবে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত অর্থ হিসেবে জমা করে। যেহেতু ওই ব্যাংক হিসাব ব্রোকারেজ হাউসের নামে থাকে, তাই সেখানে রাখা বিনিয়োগকারীদের অর্থ তছরুপের সুযোগ থাকে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারের।
অতীতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে একাধিক ব্রোকারেজ হাউস। পরে ডিএসই আইন অনুযায়ী সেসব হাউসের মালিকানা নিজেদের জিম্মায় নিয়ে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দিয়েছে।
আইন অনুযায়ী, ব্রোকারেজ হাউসে থাকা বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত বিনিয়োগ হিসাব নিয়মিত তদারকি করেন স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। সেখানে কোনো অনিয়ম পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তারই অংশ হিসেবে বানকো সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবে অর্থের বড় ধরনের গরমিল পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।