মূল্যস্ফীতি আবারও ৬ শতাংশের কাছাকাছি চলে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবমতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে মাসওয়ারি ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। টানা তিন মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির হার গত আগস্ট মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ ও জুলাই মাসে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার বিবিএস মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ফলে করোনার মধ্যে সীমিত আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তের ভোগান্তি বাড়ল। এমনিতেই করোনার কারণে অনেকের আয় কমেছে, অনেকে বেকার হয়ে গেছেন। বিবিএস বলছে, দুই মাস ধরেই খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের বেশি। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ১২ শতাংশ হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় মজুরি সূচকের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিবিএস বলছে, ২০১০-১১ ভিত্তি বছর ধরে গত আগস্ট মাসে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে হয় ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
বিবিএস বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে গ্রাম ও শহরের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ প্রায় সমান পড়েছে। গত মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আর গ্রামে ছিল এ হার ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তবে গ্রামে মূল্যস্ফীতির চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় মজুরি সূচকের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিবিএস বলছে, ২০১০-১১ ভিত্তি বছর ধরে গত আগস্ট মাসে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে হয় ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। খারাপ খবরটি হলো, যে হারে মূল্যস্ফীতি হয়েছে, এর কম হারে মজুরি বেড়েছে। ফলে তা ক্রয়ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।