প্রথম দিনেই দামের বড় ধরনের উত্থান–পতন

লেনদেন শুরুর প্রথম দিনে সর্বোচ্চ দামে ওঠার পর একই দিনে অভিহিত মূল্যের (ফেসভ্যালু) নিচেও নেমেছে আলোচিত বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ডের দাম। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে একযোগে বন্ডটির লেনদেন শুরু হয়।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বন্ডটির লেনদেন শুরু হয় দিনের সর্বোচ্চ দামে। লেনদেনের শুরুতেই এটির ইউনিটের বাজারমূল্য ১০ শতাংশ বা ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ১১০ টাকায়। কিন্তু সেই দাম খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের একপর্যায়ে বন্ডটির ইউনিটের বাজারমূল্য ৯৯ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে আসে। তাতে এদিন এটির দামের সাড়ে ১০ শতাংশের উত্থান-পতন ঘটে। তবে দিন শেষে অভিহিত মূল্যের চেয়ে ১ শতাংশ বা ১ টাকা বেড়ে ১০১ টাকায় লেনদেন শেষ হয়। প্রথম দিনে বন্ডটির প্রায় ৩২ লাখ ইউনিটের হাতবদল হয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বন্ডটির দাম ৪ শতাংশ বা ৪ টাকা বেড়ে ১০৪ টাকায় লেনদেন শেষ হয়েছে। ঢাকার বাজারে লেনদেনের একপর্যায়ে এটির দাম অভিহিত মূল্যের নিচে নামলেও সিএসইতে অভিহিত মূল্যের বেশি দামেই হাতবদল হয় দিনভর।

এদিকে বন্ডটির তালিকাভুক্তি উপলক্ষে ডিএসই আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বন্ডটিতে বিনিয়োগকারীদের ৯ শতাংশ হারে মুনাফা দেওয়া হবে। অথচ ব্যাংকে এখন স্থায়ী আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ। তাই সুকুক বন্ড নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু সেই তুলনায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সেভাবে সাড়া মেলেনি।’ এ জন্য বন্ডটি সম্পর্কে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ভালোভাবে তুলে ধরতে না পারাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজারে নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসতে শুরু থেকে কাজ করছে বর্তমান কমিশন। বেক্সিমকো সুকুকের তালিকাভুক্তি সেই চেষ্টাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া, বন্ডটির ইস্যু ব্যবস্থাপক সিটি ব্যাংক ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরশাদ হোসেন প্রমুখ।