আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রথমবারের মতো নৌপথে সিমেন্ট যাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায়।
শিগগিরই এই নৌপথ নিয়মিত করা হবে বলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৪ আগস্ট বিআইডব্লিউটিএ নতুন নৌপথটি দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে পণ্য রপ্তানির অনুমতি দেয়।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রথমবারের মতো নৌপথে সিমেন্ট যাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায়। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গোমতী নদী দিয়ে একই জেলার বিবিরবাজার হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করবে সিমেন্টবাহী জাহাজ। পরে ত্রিপুরার সিপাইজলা জেলার সোনামুড়া এলাকায় পণ্য খালাস করা হবে। এটি পরীক্ষামূলক চালান। শিগগিরই এই নৌপথ নিয়মিত করা হবে বলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রমতে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ৫০ টন সিমেন্ট বা ১ হাজার ব্যাগ প্রিমিয়ার ব্র্যান্ডের সিমেন্ট নিয়ে দাউদকান্দি থেকে রওনা হবে এমভি প্রিমিয়ার নামের জাহাজ। ২৪ আগস্ট বিআইডব্লিউটিএ নতুন নৌপথটি দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে পণ্য রপ্তানির অনুমতি দেয়। দাউদকান্দি থেকে গোমতী নদী দিয়ে মুরাদনগর, দেবীদ্বার, ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, কুমিল্লা সদর হয়ে বিবিরবাজার সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরার সোনামুড়া পর্যন্ত দূরত্ব ৯২ কিলোমিটার। সেখান থেকে পণ্যের চালান সড়কপথে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় যাবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে, সিমেন্টের ওই চালান আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করতে সোনামুড়া বন্দরে সরকারিভাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পণ্যের চালান গ্রহণ করবেন। এদিকে কুমিল্লার বিবিরবাজার থেকে পণ্যের চালান আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেবেন বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষামূলক চালানের অভিজ্ঞতা দেখে নৌপথটি নিয়মিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই পথ চালু হলে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার নৌ প্রটোকলের আওতায় নৌপথে বাণিজ্য হয়। তবে নৌ প্রটোকলের আওতায় আগে কখনো ত্রিপুরার সঙ্গে সরাসরি পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়নি। এবার সেই সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।