দুই কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রতিদিন বাড়ছে ১০% করে

শেয়ারবাজারে নতুন তালিকাভুক্তির দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির গতি যেন থামছেই না। কোম্পানি দুটি হচ্ছে ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স ও বিডি থাই ফুড। এর মধ্যে মাত্র ১৯ কার্যদিবসে ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম প্রায় ছয় গুণ এবং বিডি থাই ফুডের দাম মাত্র ১৩ কার্যদিবসে প্রায় সাড়ে তিন গুণ বেড়েছে।

প্রতিদিনই লেনদেনের শুরুতেই কোম্পানি দুটির শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে যায়। একপর্যায়ে শেয়ার দুটি বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা এ শেয়ার কিনতে ক্রয়াদেশ দিয়েও শেয়ার পান না।

তালিকাভুক্তির পর থেকে প্রতিদিনই কোম্পানি দুটির শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। প্রতিদিনই লেনদেনের শুরুতেই কোম্পানি দুটির শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে যায়। একপর্যায়ে শেয়ার দুটি বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা এ শেয়ার কিনতে ক্রয়াদেশ দিয়েও শেয়ার পান না। তালিকাভুক্তির পর থেকে প্রতিদিনই এ অবস্থা চলছে। তাতে বাজারে কোম্পানি দুটির শেয়ারের একধরনের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে।

ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স ও বিডি থাই ফুড প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্সের লেনদেন শুরু হয় গত ১৬ জানুয়ারি। বিডি থাই ফুডের লেনদেন শুরু হয়েছে ২৪ জানুয়ারি। তাতে ১৯ কার্যদিবসে ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে গতকাল বুধবার দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকায়। একইভাবে মাত্র ১৩ কার্যদিবসে বিডি থাই ফুডের ১০ টাকার শেয়ারের দাম ২৪ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩৪ টাকা।

প্রতিদিন লেনদেনের শুরুতে ১০ শতাংশ করে দাম বাড়তে থাকায় কোম্পানি দুটির আইপিও শেয়ার যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের বড় অংশই হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি না করে ধরে রেখেছেন। এ কারণে প্রতিদিন অল্প কিছু শেয়ারের হাতবদল হচ্ছে আর হু হু করে দাম বাড়ছে। নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। সেটিই ঘটছে এ দুই কোম্পানির ক্ষেত্রে। এ কারণে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে শেয়ারের দামের ওপর থেকে মূল্যসীমা বা সার্কিট ব্রেকার তুলে নিলে তাতে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির এ প্রবণতা রোধ হতে পারে।