ইভ্যালির ব্যবসা পর্যালোচনায় ই-ক্যাবের কমিটি

ই-ক্যাব
ই-ক্যাব

ইভ্যালির ব্যবসা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে ৭ সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক ও ই-ক্যাবের একজন প্রতিনিধি  রয়েছেন এই কমিটিতে। এর মধ্যে দুজন লেনদেন, একজন আন্তর্জাতিক ব্যবসা, একজন ই-কমার্স কৌশল ও একজন ই-কমার্স গবেষক রয়েছেন। এ ছাড়া একজন আইনজ্ঞকে কমিটিতে রেখেছে ই-ক্যাব।

ই-ক্যাব আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি সম্পর্কে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনও ইভ্যালির বিষয়ে তথ্য চায়। এই আলোকে কমিটি গঠন করা হয়।


কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের (আই আই টি) সহযোগী অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাফি উদ্দীন আহমেদ, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহযোগী অধ্যাপক মো. ইফতেখারুল আমিন, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সূবর্ণ বড়ুয়া, এসিসিফিন ট্যাক্সের ফাউন্ডার অ্যান্ড পার্টনার ফায়সাল মাহমুদ, আইনজীবী শাওন এস নোবেল ও ই-ক্যাব রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সাদরুদ্দীন ইমরান।

ই-ক্যাব জানায়, কমিটি দুই দফা সভা করেছে। দু-এক দিনের মধ্যে কমিটির সদস্যরা ইভ্যালির কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। ইভ্যালির সঙ্গে আলোচনা করবেন। কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করবে।


ইভ্যালির ব্যবসায় পদ্ধতি, মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএমের সম্ভাব্যতা, বিভিন্ন অফারের আইনগত দিক এবং ক্রেতা-ভোক্তাদের অভিযোগসমূহ খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। এ কমিটিকে সহযোগিতা করতে ই-ক্যাবের পাঁচ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ই-ক্যাব সকল সদস্য প্রতিষ্ঠানকে দেশের আইন, সরকারি বিধান, কোম্পানি আইন, ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা, কমপিটিশন কমিশনের বিধিমালা, ভোক্তা অধিকার আইন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সংক্রান্ত বিধি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিধিবিধান ও ই-ক্যাবের নিয়মনীতি মেনে চলা এবং ক্রেতাসাধারণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার অনুরোধ জানিয়েছে।