জাম্বিয়ায় তামার খনি ফিরে পাচ্ছেন ভারতের শতকোটিপতি

আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়ায় একটি তামার খনির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাচ্ছে ভেদান্তা রিসোর্সেস লিমিটেড। ওই খনি কোম্পানিতে যারা ঋণ দিয়েছে, তাদের সেই ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে দেশটির একটি আদালত। ভেদান্তার মালিক শতকোটিপতি অনিল আগারওয়াল খনিটি ফিরে পেতে চেষ্টা করছিলেন।

জাম্বিয়ার রাজধানী লুসাকার ওই আদালত শুক্রবার ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনাটি অনুমোদন করে। কনকোলা কপার মাইনস পিএলসির ঋণদাতারা এটি সমর্থন করেছে বলে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন দেশটির খনিবিষয়ক মন্ত্রী পল কাবুসওয়ে। খনিটি আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলের দেশটির অন্যতম বড় তামা উৎপাদনকেন্দ্র।

ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, অনিল আগারওয়াল খনিটি ফিরে পেতে ২০১৯ সাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। তখন তৎকালীন সরকার কনকোলা কপার মাইনস কোম্পানিকে সাময়িকভাবে ব্যবসা গোটানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কোম্পানির মালিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, খনি সম্প্রসারণের বিষয়ে তারা মিথ্যা বলেছে এবং সরকারকে খুব কম কর দেয়।

খনিটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে ভেদান্তাকে এখন আদালতের নির্দেশ মেনে ঋণ পরিশোধের জন্য ২৫ কোটি ছাড় করতে হবে। এই অর্থ ঠিকাদার ও সরবরাহকারীরা কনকোলা কপার মাইনস কোম্পানির কাছে পান। ভেদান্তা ব্লুমবার্গকে চলতি সপ্তাহে জানিয়েছে, অর্থ পরিশোধ করতে তারা প্রস্তুত আছে।

এ ছাড়া অনিল আগারওয়ালের কোম্পানি তামাখনির সম্প্রসারণ শেষ করতে আগামী পাঁচ বছরে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

মূলত বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। গত মাসে এই ধাতুর দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছিল। কনকোলা কপার মাইনসের বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা তিন লাখ টনের বেশি। কিন্তু ২০২৩ সালে খনিতে উৎপাদন ৪০ হাজার টনের নিচে নেমে আসে।

কনকোলা কপার মাইনসের মূল খনিটি পরিচিত কনকোলা ডিপ নামে। এটি ভূমির প্রায় এক মাইল নিচে বিস্তৃত। বিশ্বে যেসব খনিতে দ্রুত পানি জমে, এটি তার অন্যতম। ফলে প্রতিদিন ১৪০টি অলিম্পিক সুইমিংপুলের সমপরিমাণ পানি পাম্প করে ওপরে নিয়ে আসতে হয়। এর মাধ্যমেই খনিটি তার কার্যক্রম চালু রাখে।