দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ৪৪ ব্যবসায়ীকে ২০২১ সালের জন্য বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (শিল্প) বা সিআইপি নির্বাচন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
গতকাল সোমবার এক গেজেটের মাধ্যমে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আগামী এক বছরের জন্য এই ব্যক্তিরা জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া সরকারের শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
এনসিআইডি ক্যাটাগরিতে ৬ জন, বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন) ক্যাটাগরিতে ২০ জন এবং বৃহৎ শিল্প (সেবা) ক্যাটাগরিতে ৫ জন, মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) ক্যাটাগরিতে ১০ জন, ক্ষুদ্রশিল্প (উৎপাদন) ক্যাটাগরিতে ২ জন ও মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ জন বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে।
২০২১ সালে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনে দায়িত্ব পালনকারী ছয় ব্যবসায়ীকে এনসিআইডি ক্যাটাগরিতে সিআইপি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী, বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান ও বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী।
বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন) ক্যাটাগরিতে নির্বাচিতরা হলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার এরিক এস চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলসের চেয়ারম্যান আলী হুসাইন আকবর আলী, প্রাণ ডেইরির চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস মৃধা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোবারক আলী, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাবের, এসিআইয়ের এমডি ড. আরিফ দৌলা, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল মোনেম লিমেটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম মাঈনউদ্দিন মোনেম, ফারিহা নিট টেক্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন ভূঁইয়া, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের এমডি অঞ্জন চৌধুরী।
এ তালিকায় আরও আছেন হ্যামস গার্মেন্টসের এমডি মো. সফিকুর রহমান, বাদশা টেক্সটাইলসের উদ্যোক্তা পরিচালক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, মীর সিরামিকের পরিচালক মাহরীন নাসির, ডিউরেবল প্লাস্টিকের পরিচালক উজমা চৌধুরী, রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, উইনার স্টেইনলেস স্টিল মিলসের চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা, তাসনিয়া ফেব্রিক্সের উদ্যোক্তা পরিচালক আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলসের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, এনভয় টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম।
বৃহৎ শিল্প (সেবা) ক্যাটাগরিতে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছে পাঁচজন। তাঁরা হলেন এসটিএস হোল্ডিংয়ের এমডি খন্দকার মনির উদ্দীন, এসবি টেল এন্টারপ্রাইজেসের এমডি জাকারিয়া শাহিদ, দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সের এমডি মো. আতিকুর রহমান, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এস এম কামাল উদ্দিন ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম।
এ ছাড়া মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এম এ সবুর সিআইপি মর্যাদা পেয়েছেন।
গেজেটে আরও বলা হয়েছে, সিআইপি হিসেবে যে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে, তা মেয়াদোত্তীর্ণের সাত দিনের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে ফেরত দিতে হবে। এ ছাড়া সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে যেকোনো ব্যক্তির সিআইপি হিসেবে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা মেয়াদকালীন যেকোনো সময় জনস্বার্থে প্রত্যাহার করতে পারবে।