সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখার চার মাস এক সপ্তাহ পর নিয়ম কিছুটা শিথিল করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আজ সোমবার নতুন এক পরিপত্রে বলেছে, বিদেশ ভ্রমণ এখনো বন্ধ। তবে সরকারি কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সীমিত আকারে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
এ বিষয়ে গত ১২ মে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছিল, করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষাসফর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ এবং কর্মশালা বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
আজ জারি হওয়া পরিপত্রে একই কথা বলা হয়েছে। তবে ‘তবে’ শব্দ ব্যবহার করে বলা হয়েছে, পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ যদি স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ দিয়ে থাকে, তার আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) থাকে। তার ভিত্তিতে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় আয়োজিত বিশেষায়িত ও পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যাবে।
বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগীদের আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণেও অংশগ্রহণ করা যাবে।
এ ছাড়া সরবরাহকারী, ঠিকাদার, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সেবা ও পণ্যের গুণগত মান নিরীক্ষা ও পরিদর্শনের উদ্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ভ্রমণ ও বদলি বাবদ ২ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। তার আগের অর্থবছরে প্রকৃত ব্যয় ছিল ১ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর আরেক প্রজ্ঞাপনে অর্থ বিভাগ বলেছিল, সরকারি ভ্রমণে ব্যয়ের জন্য যা বরাদ্দ আছে, তার ৫০ ভাগ ব্যয় করা যাবে এবং বিদেশ ভ্রমণ খাতের অব্যবহৃত টাকা অন্য খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। যানবাহনও ঢালাওভাবে কেনা যাবে না।