সামিট পাওয়ার লিমিটেডের আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনার তিনটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আজ বুধবার এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের ট্যারিফ হচ্ছে ৬ দশমিক শূন্য ৪ টাকা, যা আগের তুলনায় ৭ পয়সা কম। এটুকু কমলে সরকারের সাশ্রয় হবে ৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। বর্ধিত মেয়াদে স্পনসর কোম্পানি সামিট পাওয়ারকে ৫৪৬ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে সরকারকে।
মূল চুক্তিতে ক্যাপাসিটি মাশুল (চার্জ) থাকলেও এবার তা রাখা হয়নি বলে জানান সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। তিনি বলেন, এবার অন্য কোনো স্থায়ী মাশুলও নেই। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ নেওয়া হবে, সেই পরিমাণ টাকাই পরিশোধ করা হবে।
জানা গেছে, সামিট পাওয়ারের সঙ্গে সরকারের ১৫ বছরের চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট শেষ হয়। পরে আরও পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়, যা শেষ হয় ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট। নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে এ দফায় আরও পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়ানো হলো, যা শেষ হবে ২০২৮ সালে।
ক্রয় কমিটিতে ‘খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১-এর পূর্তকাজের তৃতীয় ভ্যারিয়েশন প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। ১ হাজার ২৭৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে ভারতের ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
এদিকে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতার একটি প্রকল্পে ঠিকাদার কোম্পানির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। আগে চুক্তি হয়েছিল সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানির সঙ্গে। নাম বদলে তা এখন হবে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি টু। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব আরও জানান, এগুলো হচ্ছে স্পেশাল পারপাস ভেহিক্যাল (এসপিভি) কোম্পানি। এদের ব্যবস্থাপনায় আগের কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্তরাই থাকবেন।
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুরের কোম্পানি গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে স্বল্প মেয়াদে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের প্রস্তাবও নীতিগত অনুমোদিত হয়েছে। চলতি ২০২৪ ও আগামী ২০২৫ সালের জন্য এ ব্যাপারে চুক্তি হবে।