ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। বাজারে এক ব্রিটিশ পাউন্ডের বিনিময়ে ১৫২ টাকা পাওয়া যাচ্ছে, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহেও এক পাউন্ডের বিনিময়ে ১৪৫ থেকে ১৪৭ টাকা পাওয়া গেছে।
গত সোমবার লন্ডনের প্রায় সব মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান থেকে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতি পাউন্ডের বিনিময়ে ১৫২ টাকা পেয়েছেন। এই দরে দেশে টাকা পাঠিয়েছেন তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের বারাকা মানি ট্রান্সফারে এক পাউন্ডের বিনিময়ে ১৫১ দশমিক ৫০ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মালিকানাধীন মার্কেন্টাইল মানি এক্সচেঞ্জে পাওয়া গেছে ১৫২ টাকা আর ব্যাংক এশিয়ার মালিকানাধীন বিএ মানি এক্সচেঞ্জে পাওয়া গেছে ১৫২ টাকা।
মানি এক্সচেঞ্জে টাকা বেশি পাওয়া গেলেও রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান সোনালী পে–তে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য এখনো ১৩৪ টাকা।
বিএ মানি এক্সচেঞ্জের সিইও এ বি এম কামরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে ২০০৮ সালে পাউন্ডের বিনিময়মূল্য সর্বোচ্চ ১৪৮ টাকায় উঠেছিল। তবে তখন এক পাউন্ডের বিনিময়ে ২ দশমিক ০১ ডলার পর্যন্ত পাওয়া গেছে আর এখন পাওয়া যাচ্ছে ১ দশমিক ২৫ ডলার। কিন্তু এখন ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় পাউন্ডের বিপরীতে টাকার মানও কমছে।
মার্কেন্টাইল মানি এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী নূর ইসলাম বলেন, পাউন্ডের বিপরীতে টাকার দরপতন হওয়ায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে অধিক হারে অর্থ পাঠাচ্ছেন।
সালমা খানম নামের এক ব্রিটিশ বাংলাদেশি নারী বলেন, ‘পাউন্ডের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে বলে দেশে বেশি অর্থ পাঠাচ্ছি। পরিবারের সবার কাছেই অর্থ পাঠিয়েছি।’